গরমে শিশুদের কষ্ট কমাতে আইএএস অফিসার নিজের অফিসের এসি বসালেন সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বেনজির লড়াই
মধ্য প্রদেশের উমারিয়ায় কালেক্টর হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ২০১২ ব্যাচের আইএএস স্বরোচিশ সোমবংশী। কিন্তু যোগ দিয়েই তাঁর নজরে পড়ে এক স্থানীয় মর্মান্তিক প্রথার। আর এই মর্মান্তিক প্রথা দূর করতে, সরকারি হাসপাতালে শিশুদের কষ্ট কমাতে নিজের অফিসের এসি মেশিন খুলে বসালেন স্থানীয় সরকারি শিশুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
শিশুদের অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে মধ্য প্রদেশের উমারিয়া এলাকার দস্তুর হল গরম লোহার রডের ছ্যাঁকা দেওয়া। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এভাবেই অপুষ্টির থাবা থেকে বাঁচানো যায় সদ্যোজাতকে। শিশুকে দেওয়া সেই গরম লোহার রডের ছ্যাঁকার দাগ থেকে যায় জীবনভর। স্থানীয়রা এই প্রথাকে বলেন, দাগনা। সদ্য চাকরিতে ঢুকে এই ছবি দেখে চমকে উঠেছিলেন বছর ৩৪ এর তরুণ স্বরোচিশ সোমবংশী। সেদিনই ঠিক করেছিলেন, কুসংস্কারের অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসবেন এই জনপদকে, বন্ধ করবেন মর্মান্তিক দাগনা প্রথা।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে স্বরোচিশ নিলেন এক পরিকল্পনা। নাম দিলেন অপারেশন সঞ্জীবনী। তিন ধাপে কাজ করবে এই পরিকল্পনা। প্রথমত, দাগনার খবর পেলেই সেই পরিবারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হবে। দ্বিতীয় ধাপ, গ্রামবাসী এবং বাসিন্দাদের বোঝানো, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার যে ব্যবস্থা রয়েছে, তা সবচেয়ে নিরাপদ। তাই তাদের মধ্যে ওঝা কিংবা হাতুড়েদের কাছে না গিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি করা। সর্বশেষ ধাপ, পুরষ্কৃত করা। যে সমস্ত মানুষ সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে সরকারি হাসপাতালে যাওয়া স্থির করেছেন এবং বাড়ির শিশুদের দাগনা করাননি, তাঁদের পুরষ্কৃত করার কথাও রয়েছে সঞ্জীবনী স্কিমে।
এ বছর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় এই বিশেষ স্কিম। তারপর কেটেছে এক মাস। এর মধ্যেই বদলের ছবি দেখতে পাচ্ছেন আইএএস অফিসার সোমবংশী। তাঁর দাবি, গ্রামের মানুষ এখন সন্তানকে পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র বা এনআরসিতে নিয়ে আসায় জোর দিচ্ছেন। আগে যে এনআরসিগুলো ফাঁকা পড়ে থাকত, ইদানিং সেখানে সাধারণ মানুষের ভিড়, শিশুদের চিকিৎসা হচ্ছে পুরোদমে। নিজের লক্ষ্যে অবিচল স্বরোচিশ সোমবংশী লক্ষ্য করলেন, মধ্য প্রদেশের প্রবল গরমে শিশুদের থাকতে অসুবিধা হচ্ছে। কীভাবে শিশুদের একটু আরাম দেওয়া যায়, ভাবতে বসলেন উমারিয়ার কালেক্টর। তিনি বুঝতে পারলেন, এসি বসাতে সরকারি নিয়ম মেনে চললে অনেক সময় লাগবে। তাতে শিশুদের কষ্ট আরও বাড়বে। বের করলেন উপায়। নিজের অফিসের চেম্বার থেকে খুলে ফেললেন এসি মেশিন। তা বসালেন উমারিয়ার একটি এনআরসিতে। নিজে গরমে কষ্ট পেলেও, শিশুদের কষ্ট তো একটু কমবে। এভাবেই গত এক মাসে নিজের অফিসের আরও একাধিক এসি তিনি বসিয়েছেন শিশুদের চিকিৎসার জন্য তৈরি এনআরসিতে। কিন্তু প্রবল গরমে নিজে ফ্যান চালিয়ে কাজ করছেন, অসুবিধা হচ্ছে না? স্বরোচিশ সোমবংশী বলছেন, অসুবিধা হচ্ছিল শিশুগুলোর। তাই নিজের এসি খুলে ওখানে লাগিয়েছি। অসুস্থ অবস্থায় একটু আরামের ব্যবস্থা করাই ছিল উদ্দেশ্য। সেটা হয়েছে দেখেই ভালো লাগছে। প্রশাসনিক কর্তার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন সহকর্মীরাও। তাঁরা এক সপ্তাহের বেতন, ৫ লক্ষ টাকা দান করেছেন হাসপাতালের উন্নতিতে।
আইএএস অফিসার নিজের কেবিনের এসি মেশিন খুলে তা লাগিয়ে দিচ্ছেন শিশু হাসপাতালে, এমন কালেক্টর জীবনেও দেখেনি উমারিয়া। কুসংস্কারের সঙ্গে লড়তে গিয়ে যে আইএএস নিজের অফিসের এসি মেশিন খুলে শিশুদের হাসপাতালে লাগিয়ে দিচ্ছেন, তাঁকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন উমারিয়াবাসী। আর কী বলছেন সেই আমলা? স্বরোচিশ সোমবংশী বলছেন, দাগনা বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলাম, সেটাই চূড়ান্ত লক্ষ্য। খুব দ্রুত সেই লক্ষ্যে পৌঁছাব, এই ভরসা তো দিচ্ছেন এলাকার মানুষই। আমার ভূমিকা কোথায়?
শিশুদের অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে মধ্য প্রদেশের উমারিয়া এলাকার দস্তুর হল গরম লোহার রডের ছ্যাঁকা দেওয়া। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এভাবেই অপুষ্টির থাবা থেকে বাঁচানো যায় সদ্যোজাতকে। শিশুকে দেওয়া সেই গরম লোহার রডের ছ্যাঁকার দাগ থেকে যায় জীবনভর। স্থানীয়রা এই প্রথাকে বলেন, দাগনা। সদ্য চাকরিতে ঢুকে এই ছবি দেখে চমকে উঠেছিলেন বছর ৩৪ এর তরুণ স্বরোচিশ সোমবংশী। সেদিনই ঠিক করেছিলেন, কুসংস্কারের অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসবেন এই জনপদকে, বন্ধ করবেন মর্মান্তিক দাগনা প্রথা।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে স্বরোচিশ নিলেন এক পরিকল্পনা। নাম দিলেন অপারেশন সঞ্জীবনী। তিন ধাপে কাজ করবে এই পরিকল্পনা। প্রথমত, দাগনার খবর পেলেই সেই পরিবারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হবে। দ্বিতীয় ধাপ, গ্রামবাসী এবং বাসিন্দাদের বোঝানো, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার যে ব্যবস্থা রয়েছে, তা সবচেয়ে নিরাপদ। তাই তাদের মধ্যে ওঝা কিংবা হাতুড়েদের কাছে না গিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি করা। সর্বশেষ ধাপ, পুরষ্কৃত করা। যে সমস্ত মানুষ সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে সরকারি হাসপাতালে যাওয়া স্থির করেছেন এবং বাড়ির শিশুদের দাগনা করাননি, তাঁদের পুরষ্কৃত করার কথাও রয়েছে সঞ্জীবনী স্কিমে।
এ বছর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় এই বিশেষ স্কিম। তারপর কেটেছে এক মাস। এর মধ্যেই বদলের ছবি দেখতে পাচ্ছেন আইএএস অফিসার সোমবংশী। তাঁর দাবি, গ্রামের মানুষ এখন সন্তানকে পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র বা এনআরসিতে নিয়ে আসায় জোর দিচ্ছেন। আগে যে এনআরসিগুলো ফাঁকা পড়ে থাকত, ইদানিং সেখানে সাধারণ মানুষের ভিড়, শিশুদের চিকিৎসা হচ্ছে পুরোদমে। নিজের লক্ষ্যে অবিচল স্বরোচিশ সোমবংশী লক্ষ্য করলেন, মধ্য প্রদেশের প্রবল গরমে শিশুদের থাকতে অসুবিধা হচ্ছে। কীভাবে শিশুদের একটু আরাম দেওয়া যায়, ভাবতে বসলেন উমারিয়ার কালেক্টর। তিনি বুঝতে পারলেন, এসি বসাতে সরকারি নিয়ম মেনে চললে অনেক সময় লাগবে। তাতে শিশুদের কষ্ট আরও বাড়বে। বের করলেন উপায়। নিজের অফিসের চেম্বার থেকে খুলে ফেললেন এসি মেশিন। তা বসালেন উমারিয়ার একটি এনআরসিতে। নিজে গরমে কষ্ট পেলেও, শিশুদের কষ্ট তো একটু কমবে। এভাবেই গত এক মাসে নিজের অফিসের আরও একাধিক এসি তিনি বসিয়েছেন শিশুদের চিকিৎসার জন্য তৈরি এনআরসিতে। কিন্তু প্রবল গরমে নিজে ফ্যান চালিয়ে কাজ করছেন, অসুবিধা হচ্ছে না? স্বরোচিশ সোমবংশী বলছেন, অসুবিধা হচ্ছিল শিশুগুলোর। তাই নিজের এসি খুলে ওখানে লাগিয়েছি। অসুস্থ অবস্থায় একটু আরামের ব্যবস্থা করাই ছিল উদ্দেশ্য। সেটা হয়েছে দেখেই ভালো লাগছে। প্রশাসনিক কর্তার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন সহকর্মীরাও। তাঁরা এক সপ্তাহের বেতন, ৫ লক্ষ টাকা দান করেছেন হাসপাতালের উন্নতিতে।
আইএএস অফিসার নিজের কেবিনের এসি মেশিন খুলে তা লাগিয়ে দিচ্ছেন শিশু হাসপাতালে, এমন কালেক্টর জীবনেও দেখেনি উমারিয়া। কুসংস্কারের সঙ্গে লড়তে গিয়ে যে আইএএস নিজের অফিসের এসি মেশিন খুলে শিশুদের হাসপাতালে লাগিয়ে দিচ্ছেন, তাঁকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন উমারিয়াবাসী। আর কী বলছেন সেই আমলা? স্বরোচিশ সোমবংশী বলছেন, দাগনা বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলাম, সেটাই চূড়ান্ত লক্ষ্য। খুব দ্রুত সেই লক্ষ্যে পৌঁছাব, এই ভরসা তো দিচ্ছেন এলাকার মানুষই। আমার ভূমিকা কোথায়?
Comments are closed.