আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ফলে ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের যে ভয়াবহ সংকট দেখা যাবে তা সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রঘুরাম রাজন।
কগনিজেন্টের পর এবার ৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই করল বিখ্যাত তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা আইবিএম। গত সপ্তাহেই কগনিজেন্ট ২০০ জন পুরনো কর্মীকে ছাঁটাই করেছিল। তাঁরা ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির’ সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না বলে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছিল কগনিজেন্ট। এবার সেই পথে হেঁটে আইবিএমও ৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে বলে সূত্রের খবর। সর্বভারতীয় ইংরেজি ম্যাগাজিন ‘বিজনেস টুডে’ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে সংস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য ও গ্রাহকদের পরিবর্তিত দাবি পূরণের জন্য ওই কর্মীদের চাকরি থেকে সরিয়ে দিয়েছে আইবিএম। কর্মচারী কর্তৃক চিরাচরিত কাজের বদলে, সময়ের দাবি মেনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো আধুনিক প্রযুক্তির ওপর জোর দিচ্ছে মার্কিনি সংস্থা আইবিএম। সেই কারণেই ভারতের ৩০০ জন কর্মীকে বরখাস্ত করেছে তারা। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি প্রতিক্রিয়ায় আইবিএমের এক মুখপাত্র জানান, পরিবর্তিত চাহিদার দাবি মেনে ব্যবসায়িক স্বার্থে আইবিএম তাদের কৌশল পরিবর্তন করছে। যদিও, ওই মুখপাত্রের দাবি, ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে তারা আগের মতোই সাহায্য করবে। নতুন কর্মীদের সুযোগ করে দিতে ২০১৮ সালের অগাস্টে আইবিএমের ২০০ সিনিয়র কর্মীকে কাজ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
আরও বেশি প্রযুক্তির উপর ঝুঁকতে থাকার ফলে আই টি সেক্টরের কর্মীদের ছাঁটাই এখন নিত্য ঘটনা। কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো প্রযুক্তি নির্ভরতাকেই দেখাচ্ছে আই টি সংস্থাগুলি।
Comments are closed.