বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার অনেক কম। যাবতীয় পূর্বাভাস ভুল প্রমাণ করে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার যেভাবে কমছে, তা গত দু’বছরে দেখা যায়নি। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতির সার্বিক বৃদ্ধির হারের যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল তাও মিলছে না। এর ৮০ শতাংশ দায় ভারতের। এমনটাই জানালেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার বা আইএমএফ-এর মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা গীতা গোপীনাথ।
দাভোসে বসেছে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের ৫০ তম বার্ষিক সম্মেলন। তারই ফাঁকে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গীতা বলেন, সার্বিকভাবে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ২০১৯ সালে ২.৯ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৩.৩ শতাংশ থাকবে, এমনটাই মনে হচ্ছে। যা অক্টোবরের দেওয়া পূর্বাভাসের তুলনায় ০.১ শতাংশ কম। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হারও খুব আশাব্যঞ্জক হবে না।
ভারতের এই কম আর্থিক বৃদ্ধির হার কি গোটা বিশ্বের আর্থিক পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে? এর উত্তরে গীতা জানিয়েছেন, হ্যাঁ, প্রভাব পড়েছে। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ভারতের কম আর্থিক বৃদ্ধিই এর জন্য দায়ী।
উল্লেখ্য, সোমবারই চলতি ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস আগের থেকে কমিয়ে ৪.৮ শতাংশ করেছে আইএমএফ। গীতা গোপীনাথ জানিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম দুই ত্রৈমাসিকে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার যথেষ্ট কম ছিল। যা পূর্বাভাসের সঙ্গে মেলেনি। এর জন্য নগদের জোগানে টান, আর্থিক ক্ষেত্রের বিশেষত নন ব্যাঙ্কিং সেক্টরের খারাপ ফলাফলকে দায়ী করেছেন গীতা।
তবে আইএমএফের অনুমান, ২০২০ তে ৫.৮ শতাংশ ও ২০২১ সালে ৬.৫ শতাংশ হতে পারে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার। এই মন্দার কবল থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সরকার যে পদক্ষেপ করছে এবং বিভিন্ন ত্রাণ প্রকল্প চালু করছে, তা কার্যকরী হবে বলে আশাবাদী গীতা গোপীনাথ। ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ যাতে না বাড়ে সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
Comments are closed.