ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালো আইএমএফ, সম্প্রতি ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছিল বিশ্বব্যাঙ্কও

বিশ্ব ব্যাঙ্কের পর এবার আইএমএফ বা আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার, একলাফে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস বেশ কিছুটা কমিয়ে দিল এই আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাটি।
মঙ্গলবার আইএমএফের তরফে যে তথ্য ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ২০১৯ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.১ শতাংশ। যা তাদের দেওয়া গত এপ্রিল মাসের পূর্বাভাসের তুলনায় ১.২ শতাংশ কম। গত এপ্রিল মাসে আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছিল ২০১৯ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ তে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। আইএমএফের পূর্বাভাস যদি সত্যি হয় তাহলে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে .৭ শতাংশ কমবে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার।
ইতিমধ্যেই চলতি ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক ফলাফলে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৫ শতাংশে। যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। এরপর আইএমএফের এই পূর্বাভাস কেন্দ্রকে যে আরও অস্বস্তিতে ফেলল।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্কও ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬ শতাংশ। যা ২০১৮ সালে তাদের দেওয়া পূর্বাভাসে থেকে .৯ শতাংশ কম।
আইএমএফ তাদের রিপোর্টে বলেছে, ভারতের কম আর্থিক বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে গাড়ি শিল্পে, আবাসন শিল্পে এবং নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক ক্ষেত্রে। ভারতকে যদি আরও বেশি আর্থিক বৃদ্ধির পথে ফিরতে হয় আর্থিক নীতিতে সংস্কার, কর ব্যবস্থার সরলীকরণ, আর্থিক নীতিতে পরিবর্তন, কর্পোরেট ট্যাক্স সহ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড়ের পরিমাণ বাড়ানো, পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশের দিকে জোর দিতে হবে।
ভারতের পাশাপাশি চিনের আর্থিক অবস্থার পূর্বাভাসও দিয়েছে আইএমএফ। ২০১৯ এ ভারত ও চিনের আর্থিক বৃদ্ধির হার একই হবে বলে আইএমএফের ধারণা। তবে ২০২০ সালে চিনের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫.৮ শতাংশে নামতে পারে বলেই আইএমএফের মত। অন্যদিকে, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০২০ সালে ৭ শতাংশ থাকবে বলেই আইএমএফের মত। ২০১৮ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশ, অন্যদিকে চিনের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৬ শতাংশ।

Comments are closed.