কাশ্মীরের আইএএস অফিসার শাহ ফয়জলের মতো আমলার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আরও এক অফিসার কি এবার রাজনীতিতে আসতে চলেছেন? এমনই প্রশ্ন উঠেছে কর্ণাটকের ‘সিংঘম’ বলে পরিচিত আইপিএস অফিসার কে আন্নামালাইয়ের ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায়। সেই সঙ্গে সৎ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির একের পর এক অফিসারদের ইস্তফায় দেশের প্রশাসনিক স্তরের ‘সিস্টেম’-এর স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
দীর্ঘ ৯ বছরের চাকরি জীবনের ইতি টেনে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন ২০১১ ব্যাচের কর্ণাটক আইপিএস অফিসার কে আন্নামালাই। শোনা যাচ্ছে, কেরিয়ারের সেকেন্ড ইনিংস রাজনীতি দিয়ে শুরু করতে চলেছেন আন্নামালাই।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আইএএস অফিসারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জম্মু কাশ্মীরের শাহ ফয়জল। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা সহ সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগে সরকারের ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন শাহ ফয়জল। এর এক মাসের মধ্যে জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট নামে নিজের রাজনৈতিক দল গড়েন তিনি। আন্নামালাই নিজস্ব রাজনৈতিক দল তৈরি করবেন কিনা পরিষ্কারভাবে জানা না গেলেও, তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করছেন বলে জোর জল্পনা চলছে।
যদিও নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর কে আন্নামালাই জানিয়েছেন, আপাতত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন আর চাষবাস করবেন তিনি। মাস তিন চারেক বাদে কেরিয়ারের দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।
কিন্তু আপাদমস্তক স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এই আইপিএস অফিসার কেন হঠাৎ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে ডিপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সূত্রের খবর, প্রশাসনের অন্দরের বিভিন্ন কার্যকলাপ মানতে না পেরেই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কে আন্নামালাই। যদিও আন্নামালাই নিজে সংবাদমাধ্যমকে জানান, খাকি উর্দির ওপর তাঁর শ্রদ্ধা আছে ও থাকবে, তবে এবার নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চাইছেন। এই ‘নতুন চ্যালেঞ্জ’ রাজনীতি কিনা তা পরিষ্কার না করলেও আন্নামালাইয়ের সহকর্মী ও কাছের মানুষরা মনে করছেন, রাজনীতিতেই আসতে চলেছেন তিনি।
কর্ণাটকের কারকালা সাব ডিভিশনের অ্যাসিস্টেন্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন কে আন্নামালায়। এরপর উদুপি, চিকামাগালুর, বেঙ্গালুরুর এএসপি পদে দীর্ঘদিন কাজ করে সুনাম অর্জন করেন তিনি। অবশেষে বেঙ্গালুরু সাউথের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেন গত সোমবার।
Comments are closed.