এবার মুকেশ আম্বানির জিওতে বিনিয়োগ মার্ক জুকারবার্গের ফেসবুকের। রিলায়েন্সের জিও প্ল্যাটফর্মে ৪৩,৫৭৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে এই সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট। এর ফলে জিওর ৯.৯৯% শেয়ার চলে যাবে ফেসবুকের হাতে।
ভারতে ফেসবুক ছাড়াও এই সংস্থার অন্যান্য যে সমস্ত প্লাটফর্ম অর্থাৎ ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ বেশ কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ভারতে ব্যবসার অগ্রগতির উপর ভরসা রেখে বছরের পর বছর এই দেশে নিজেদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে ফেসবুকের মত সংস্থা।
কাজেই ভারতে ফেসবুকের এই বিনিয়োগকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বাণিজ্যিক মহল। রিলায়েন্স জিও মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি, যা ভারতে সস্তার ভয়েস কলিং ও হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে টেলিকম ব্যবসায় নিয়ে এসেছে এক অভূতপূর্ব বিপ্লব। গত সাড়ে তিন বছরে ভারতবর্ষে ডিজিটাল যোগাযোগের এক বৃহৎ মাধ্যম হিসেবে উঠে এসেছে জিও। ইতিমধ্যে প্রায় ৩৮ কোটি ভারতীয়র কাছে নিজেদের পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে তারা।
আর এবার জিওর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতে ব্যবসার এক অভিনব নজির গড়ল ফেসবুক। টেকনোলজি সেক্টরে এটিই এই মুহূর্তে সব থেকে বড় এফডিএই। দেশের কোণে কোণে হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড ও ৪ জি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে রিলায়েন্স জিও।
জিওর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে আগামী দিনে ১৩০ কোটি ভারতবাসী ও ভারতীয় ব্যবসা মুলত ছোট ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং চাষিদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহায়তা পৌঁছনোই তাঁদের মূল লক্ষ। ইতিমধ্যে তাদের পরিষেবার মাধ্যমে ভারতের ডিজিটাল সার্ভিস স্পেসে আমুল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে জিও। এবং আগামী দিনে ভারতকে ডিজিটাল ইকোনমিতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে ও ভারতকে গ্লোবাল টেকনোলোজি লিডারের ভুমিকায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষেই কাজ চালিয়ে যাবে রিলায়েন্স।
এই বিনিয়োগের ফলে রিলায়েন্স জিও ভারতের প্রথম ৫ টি লিস্টেড কোম্পানির মধ্যে ঢুকে পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। জানানো হয়েছে, এই বিনিয়োগের মাধ্যমে ভারতের সব রকমের ব্যবসায় নতুন দিগন্ত খুলে দেওয়া ও দেশের সার্বিক উন্নয়নই তাদের লক্ষ্য। যার ফলে উপকৃত হবে প্রায় ৬ কোটি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প। এছাড়াও উপকৃত হবেন ১২ কোটি কৃষক ও ৩ কোটি ছোট ব্যবসায়ী সহ আরও অনেক ভারতীয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, যেখানে গোটা বিশ্ব কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে মরিয়া লড়াই চালাচ্ছে। অর্থনীতি কার্যত স্তব্ধ। এই অবস্থায় ভারতের প্রযুক্তি ব্যবসায় এত বড় অঙ্কের বিনিয়োগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতিকে পুনরায় চাঙ্গা করতে প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Comments are closed.