শুক্রবার শেষ হল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন পদের জন্য ১৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে, ফল বেরোবে রবিবার। এবারও ছাত্র সংসদ দখল ধরে রাখতে মরিয়া বামেরা। অন্যদিকে, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জেএনইউর ছাত্র সংগঠনের ক্ষমতা দখলকেই পাখির চোখ করেছে এবিভিপি। মূলত ত্রিমূখী লড়াইয়ে সম্মিলিত বাম জোটের প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে দাঁড়িয়েছেন দুর্গাপুরের ঐশী ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে এবিভিপির প্রার্থী মণীশ জানগির এবং দলিত সংগঠন বিএপিএসএ-র পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জীতেন্দ্র সুনা।
শুক্রবার দুটি পর্যায়ে ভোট হয়। প্রথম দফায় সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা এবং দ্বিতীয় দফায় দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। রাত ৯ টা থেকে শুরু হবে ভোট গণনা। ফল ঘোষণা হবে আগামী রবিবার। শুক্রবার দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ভোট গ্রহণ ঘিরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় বলে পরিচিত এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সরগরম। নানা দলের স্লোগানে বারবার কেঁপে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
জেতার ব্যাপারে প্রবল আত্মবিশ্বাসী এসএফআই প্রার্থী ঐশী ঘোষ জানান, চারটি আসনের মধ্যে সবকটিতেই জিতবেন তাঁরা। বলেন, বাইরের মানুষ যাই বলুন, দেশে উন্নয়নের নামে কী চলছে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে জেএনইউয়ের পড়ুয়াদের। বাম সংগঠনের পক্ষে ঐশীর কাঁধেই রয়েছে জেএনইউর ক্ষমতা ধরে রাখার ভার। আর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এমফিলের ছাত্রী ঐশীও এ ব্যাপারে যথেষ্ট ইতিবাচক। এসএফআই সদস্য ঐশীর সমর্থনে রয়েছে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (এআইএসএ), ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস ফেডারেশন (ডিএসএফ) এবং অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ফেডারেশন (এআইএসএফ)। জেএনইউ ক্যাম্পাসে বাগ্মী নেত্রী হিসেবে পরিচিত ঐশীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৮ হাজার ৭০০ ভোটার। ‘জয় ভীম’, ‘লাল সেলাম’, ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান আর ছোটখাটো ঝামেলার মধ্য দিয়ে ভোট সম্পন্ন হয়।
Comments are closed.