নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর বিরুদ্ধে বক্তৃতার জন্য ডাক্তার কাফিল খানকে কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (এনএসএ) আটক করা ও তার মেয়াদ বৃদ্ধি অবৈধ। চিকিৎসক কাফিল খানের দ্রুত মুক্তির নির্দেশ দিয়ে এমনই মন্তব্য করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার হাইকোর্ট জানায়, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় ডাক্তার কাফিল খানের বক্তৃতায় কোনও উস্কানির প্রমাণ মেলেনি। তিনি যে আলিগড়ের শান্তি বিঘ্নিত করতে চেয়েছেন এমন বার্তাও তাঁর মন্তব্য থেকে পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, মনে হচ্ছে জেলাশাসক ওই বক্তৃতার কিছু নির্দিষ্ট অংশ ও শব্দ বেছে নিয়ে বক্তব্যের সারমর্মকে উপেক্ষা করেছেন।
চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আনা হয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (এনএসএ)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত বছর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়ে আইন (সিএএ) হওয়ার পর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। তার জানুয়ারিতেই অবশ্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে যোগী সরকার কাফিল খানের উপর আরও তিনমাস জাতীয় নিরাপত্তা আইন বা এনএসএ বৃদ্ধি করেছে।
এর আগে ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কটে ৬০ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক কাফিল খানকে প্রথমে সাসপেন্ড এবং পরে গ্রেফতার করা হয়। এরপর অবশ্য গত বছরের সেপ্টেম্বরেই উত্তরপ্রদেশ সরকারেরই একটি রিপোর্টে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান কাফিল খান। কিন্তু তারপরে সিএএ নিয়ে মন্তব্যের জন্য ফের রাজরোষে পড়েন কাফিল খান।
Comments are closed.