ঢেলে সাজানো হচ্ছে কালিঘাট মন্দির চত্বর। ইতিমধ্যেই মন্দিরের চূড়াতে ২৫০ কেজি রুপো দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে অলংকরণের কাজ। নানা ধরনের কারুকার্য করা হয়েছে। গর্ভগৃহেও আমূল সংস্কার করা হয়েছে। রঙিন মার্বেল পাথর দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে গর্ভগৃহের দেওয়াল। রাজস্থানের শিল্পীরা প্রায় দু’বছর ধরে এই সংস্কারের কাজ সম্পুর্ণ করেছেন বলে জানালেন কালিঘাট মন্দিরের সেবায়েত তরুণ মুখোপাধ্যায়। রীতি মেনে প্রতিদিন রাত বারোটার সময় বন্ধ হয় মন্দিরের দরজা, ভোর চারটের সময় মঙ্গল আরতির পর গর্ভগৃহের দরজা খুলে দেওয়া হয়। এই চার ঘণ্টা সময়েই বিগত দুবছর ধরে কাজ করেছেন রাজস্থান থেকে আসা বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্পীরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, মূল কাঠামোকে অপরিবর্তিত রেখে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক সংস্কার করা হবে। এরপর কলকাতা পুরসভার তত্ত্বাবধানে শুরু হয় সংস্কারের কাজ। মন্দির কমিটির বক্তব্য, ৫১ পীঠের অন্যতম এই পীঠে মন্দির কমিটির অধীনে আছে মোট ৮১টি ডালার দোকান। যাঁরা নিয়মিত মন্দির কমিটিকে ভাড়া দেন তাদের দোকানের জন্য। এই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দোকানগুলোকে ভেঙে গড়ে তোলা হবে সুসজ্জিত ডালা কমপ্লেক্স। এর ফলে দূর-দূরান্ত থেকে থেকে আসা দর্শনার্থীরা এক ছাদের তলায় সবরকম সুবিধে পাবেন। মন্দিরের সৌন্দর্য বাড়াতে আলোর ব্যবহারেও আনা হবে পরিবর্তন। মন্দির সংলগ্ন পুকুরেরও সংস্কার হবে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় কাজ শেষ। বর্তমান ডালার দোকানিরা তাঁদের সম্মতি জানিয়ে সাক্ষরও করে দিয়েছেন। তাই চলতি বছরের শারদোৎসবের আগেই নতুন সাজে কালিঘাট মন্দিরকে দেখতে পাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।