কঙ্গনা-শিবসেনা সংঘাত তুঙ্গে, অফিস ভাঙাকে কেন্দ্রে করে মহারাষ্ট্র সরকারকে বাবরের সঙ্গে তুলনা অভিনেত্রীর! বিজেপিকে খুশি করতে এই মন্তব্য?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া সিকিউরিটি নিয়ে বুধবার দুপুরে মানালি থেকে মুম্বই পৌঁছেছেন কঙ্গনা রানাউত। এদিকে মহারাষ্ট্র সরকার ও শিবসেনার সঙ্গে কঙ্গনার বিতণ্ডা অব্যাহত। পুর কর্তৃপক্ষের নজর এখন অভিনেত্রীর ‘অবৈধ’ বাংলো ও অফিসের দিকে।
বুধবার কঙ্গনা মুম্বইয়ে পা রাখার আগেই অফিসের বেআইনি অংশ ভাঙার কাজ শুরু করে দিয়েছিল বিএমসি। যা নিয়ে কঙ্গনা মুম্বইকে ‘পাকিস্তান’ বলে তোপ দেগেছেন! ট্যুইটে কঙ্গনার অভিযোগ, এ তো গণতন্ত্রের মৃত্যু! তাঁর অফিস ভাঙা নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়িয়ে অভিনেত্রীর মন্তব্য, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! বাবররা ফের রাম মন্দির ভাঙতে এসেছিল। ট্যুইটারে অফিস ভাঙার ছবি শেয়ার করে কঙ্গনা ব্যঙ্গের সুরে লেখেন, ‘বাবর ও তার সৈন্যরা’। বিতর্ক উস্কে দিয়ে তিনি বলেছেন মুম্বইয়ের আমার অফিস হল রামমন্দির আর মুম্বই এখন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর। কঙ্গনার কথায়, আমি যে কোনওদিন ভুল ছিলাম না সেটা আমার শত্রুরাই আজ প্রমাণ করে দিয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায় কেন মুম্বই পিওকে।
কঙ্গনার পালি হিলসের বাংলো ও অফিসে ১৪ টি আইন লঙ্ঘন হয়েছে, এই নোটিস দেওয়ার পর বুধবার তা ভাঙতে শুরু করেছিল বৃহন্মুম্বই পুরসভা (বিএমসি)।
এদিকে কঙ্গনার আবেদনের ভিত্তিতে বম্বে হাইকোর্ট বাংলো ভাঙার কাজে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তবে থেমে নেই কঙ্গনা বনাম মহারাষ্ট্র সরকারের ট্যুইট যুদ্ধ। গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে ভিডিও পোস্ট করে ফের মহারাষ্ট্র সরকারকে তোপ দেগেছেন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি বলেছেন, শিবসেনা নেতারা মহারাষ্ট্রের মালিক নন। এই মাটি ভারতবাসীর। এই ভিডিওতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে তুই-তোকারি পর্যন্ত করেছেন কঙ্গনা।
লকডাউনের গোড়া থেকেই নিজের মানালির বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন কঙ্গনা। সেখান থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে গিয়েছেন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে। এবার শিবসেনা পরিচালিত বিএমসির নোটিসের জেরে সাড়ে পাঁচ মাস পর মুম্বইতে পা রাখতে হয় কঙ্গনাকে। তাঁর পালি হিলসের অফিস ভাঙার কাজে আদালত স্থগিতাদেশ দেওয়ার আগেই অবশ্য তার অনেকটাই ভেঙে দিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা (বিএমসি)। যা নিয়ে কঙ্গনার তোপ, এই বাড়ির মতো মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর অহংকারও একদিন ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার ফের হাইকোর্টে মামলার শুনানি।
খোলাখুলি কঙ্গনাকে সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি সাংসদ সুব্যহ্মন্যম স্বামী, তেজিন্দর পাল সিং বগ্গারা গোটা বিষয়টিকে শিবসেনা বনাম বিজেপি করে তুলেছেন। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, বিজেপিকে খুশি রাখতেই কি ‘রামমন্দির’,’বাবর’ ইত্যাদি নাম দিয়ে উদ্ধব ঠাকরে সরকারকে আক্রমণ শানালেন কঙ্গনা? নাকি রাজনৈতিক খেলায় স্রেফ দাবার বোড়ে হয়ে গেলেন প্রতিবাদী বলিউড তারকা?
Comments are closed.