১৮ মাসে ১৮৫ কোটি টাকার সম্পদ বৃদ্ধি কর্ণাটকের বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন বিধায়ক নাগারাজের, বিজেপির বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ

মাত্র ১৮ মাসের ব্যবধান। তার মধ্যেই ১৮৫.৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাড়িয়ে ফেলেছেন কর্ণাটকের বিক্ষুব্ধ বিধায়ক এমটিবি নাগারাজ। শুধু তাই নয়, ৬ দিনের মধ্যেই কর্ণাটকের সবচেয়ে ধনী বিধায়ক নিজের সম্পত্তি বাড়িয়েছেন প্রায় ২৬ শতাংশ। কোন জাদুতে তাঁর এই বিপুল সম্পত্তি বাড়ল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ফের চাগাড় দিয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ।
গত জুলাই মাসে কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের পতন ও বিজেপির ক্ষমতা দখলে যে ১৭ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল, তার মধ্যে অন্যতম হলেন এই নাগারাজ। বিজেপির সরকার গড়ার পিছনে তাঁর বড় ভূমিকার পুরস্কারও মিলেছে হাতেনাতে। গেরুয়া শিবিরের টিকিটে আগামী ডিসেম্বরের উপনির্বাচনে লড়ছেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর নির্বাচনী হলফনামা নিয়ে শোরগোল উঠেছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে। জানা যাচ্ছে, গত ২ অগাস্ট থেকে ৭ অগাস্টের মধ্যে ৫৩ দফায় নাগারাজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে কোটি কোটি টাকা। আর এই অর্থবলে মাত্র ৬ দিনে ২৫.৮৪ শতাংশ সম্পত্তি বাড়িয়ে ফেলেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক।
নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, নাগারাজ ও স্ত্রী শান্তাকুমারীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১২০১.৫০ কোটি টাকা। যা ২০১৮ সালের মে মাসের ভোটে নাগারাজের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী ১৫.৫ শতাংশ বেশি। নাগারাজের ২০১৮ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনী হলফনামা থেকে দেখা গিয়েছে, তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ১০৪.৫৩ কোটি টাকা। স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৪৪.৯৫ কোটি টাকার। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গত ১০ জুলাই বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দেন নাগারাজ। আর ২৭ জুলাই এবং ২ অগাস্ট থেকে ৭ অগাস্টের মধ্যে ৫৩ দফায় নাগারাজের কানাড়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে বিপুল টাকা। এর বেশিরভাগ ডিপোজিট ছিল ৯০ লক্ষ টাকার উপরে।
কীভাবে এত অল্প দিনের মধ্যে নাগারাজ এই বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হলেন? এই প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সোজা বলে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। কংগ্রেস-জেডিএস সরকার ভাঙার পিছনে ছিলেন বিক্ষুব্ধ ১৭ বিধায়ক। এঁদের প্রত্যেককে গড়ে ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে দল থেকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মিলিত অভিযোগ করে জেডিএস ও কংগ্রেস। এমটিবি নাগারাজের এই অভাবনীয় সম্পত্তি বৃদ্ধিতে বিজেপির ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ সত্যতা পেল বলে কটাক্ষ বিরোধীদের।

 

Comments are closed.