দেশের সব আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের এবার দেখা যাবে হাতে বোনা বস্ত্র বা খাদির পোশাকে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পণ্যের প্রচার ও ব্যবহার বাড়াতে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, সিআরপিএফ, বিএসএফ, এসএসবি, আইটিবিপি, সিআইএসএফ, এনএসজি এবং অসম রাইফেলস মিলিয়ে ১০ লক্ষেরও বেশি জওয়ানকে এবার থেকে দেখা যাবে টেরি-খাদির তৈরির পোশাকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে খাদি ও গ্রামীণ শিল্প কমিশনের (কেভিআইসি)। তাদের কাছে স্যম্পেল চাওয়া হয়েছে পোশাকের, বলে দেওয়া হয়েছে কেমন হবে পোশাকের ধরন। খাদির উর্দি ছাড়া, উলের তৈরি ইউনিফর্ম, ক্যামোফ্লেজ এবং সেনাদের কম্বল তৈরির কথাও বলা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কেন্দ্রের চূড়ান্ত অনুমোদন মিলবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক। কেভিআইসি-র সঙ্গে এই চুক্তিতে প্রত্যেক আধা সামরিক বাহিনীর পোশাক তৈরিতে গড়ে খরচ হবে ১৫০-২৫০ কোটি টাকা।
কেভিআইসি-র চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপে যেমন খাদি শিল্পের আয় দ্বিগুণের বেশি হবে তেমনি কর্মদিবসও তৈরি হবে। খাদি কর্মীদের কাজে আগ্রহ বাড়বে।
শুধু খাদির তৈরি পোশাকই নয়, সেনাবাহিনীর ক্যান্টিনে খাদির বিভিন্ন পণ্য যেমন, আচার, পাঁপড়, মধু, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, শ্যাম্পু, চা, সরষের তেল ইত্যাদির বিক্রি বাড়ানোর কথা বলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খাদির জিনিসের ব্যবহার বাড়ানোয় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে একে আন্দোলনের রূপ দিতে উদ্যোগী হয়েছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে খাদির নানা পণ্যদ্রব্য ব্যবহার শুরু করেছে। তবে আধা সামরিক বাহিনীর উর্দিতেও খাদির কাপড় ব্যবহারের নির্দেশ অভিনব।
Comments are closed.