Kolkata Air Pollution: শীতে ভয়াবহ বায়ুদূষণ শহরে, অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরে ধূলিকণা বৃদ্ধি ১৪ গুণ! রিপোর্ট CSE র
লকডাউন থেকে আনলক পর্যায়ে ফিরতেই উদ্বেগজনক বায়ুদূষণের গ্রাসে কলকাতা ও হাওড়া। বাতাসে ভাসমান ২.৫ মাইক্রন ঘণত্বের সূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম ২.৫) পরিমাণ অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্য রাজধানীতে। সংশ্লিষ্ট সময়ে গঙ্গার ওপার হাওড়ায় এই ধূলিকণা ১১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কলকাতায় একদিন এবং হাওড়ায় তিন দিন যে পিএম ২.৫ লেভেল ছিল তা দিল্লিকেও হার মানিয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (CSE)।
তারা জানাচ্ছে, পিএম ২.৫ এবং পিএম ১০, অর্থাৎ, ২.৫ মাইক্রন ঘণত্বের সূক্ষ্ম ধূলিকণা থেকে ১০ মাইক্রন ঘণত্বের ধূলিকণায় শহর কলকাতার বাতাস ভরে গিয়েছে। তাই এবার শীতের হাওয়ায় ব্যাপক দূষণ ছড়াচ্ছে। গত দু’ বছরে কলকাতায় এই মাত্রায় বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা পাওয়া যায়নি বলে তাদের দাবি।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কলকাতা, হাওড়া, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পশ্চিমবঙ্গের এই চারটি শহরের দূষণ মাত্রা পরিমাপ করেছিল সিএসই। তাতে দেখা গিয়েছে, আনলক পর্যায়ে কীভাবে ব্যাপক বায়ুদূষণ বেড়েছে বাংলার শহরাঞ্চলে। দীর্ঘ লকডাউনের কারণে পিএম ২.৫ লেভেল অনেক কমে গিয়েছিল। কিন্তু যানবাহন, কলকারখানা আবার সচল হতেই আবার দূষণের গ্রাসে কলকাতা। শুধু রাজ্য রাজধানীই নয়, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হাওড়ায় ৯ গুণ, আসানসোলে ৭ গুণ এবং শিলিগুড়িতে ১১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৫ মাইক্রন ঘণত্বের সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ। চলতি বছরের নভেম্বরের ১৬, ১৭ ও ১৮ তারিখেও দিল্লির চেয়ে পিএম ২.৫ লেভেলের পরিমাণ বেশি ছিল কলকাতা ও হাওড়ায়। তারপর ফের ডিসেম্বরে তা ব্যাপক আকার নিয়েছে। কলকাতার দিকে নজর দিয়ে সিএসই জানাচ্ছে, দীপাবলির সময়েও রাজ্য রাজধানীর দূষণ মাত্রা কমই ছিল। কিন্তু ডিসেম্বরে এই মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। সিএসই’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অনুমিতা রায়চৌধুরীর কথায়, এবার লকডাউনের কারণে দূষণ মাত্রা কম ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক কার্যকলাপ স্বাভাবিক হতেই মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ঘটেছে। যার পরিণাম এই শীতে দূষিত হাওয়ায় শ্বাস নিচ্ছে কলকাতাবাসী।
বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়লে শ্বাসনালী এবং ফুসফুসের রোগ হয়। এ ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সূক্ষ্ম ধূলিকণাকে সব চেয়ে বেশি দায়ী করা হয়। এই প্রেক্ষিতে কী করণীয়?
সিএসই’র পরামর্শ, বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম ২.৫) নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কলকাতা, হাওড়া, আসানসোল ও শিলিগুড়িকে। তার জন্য যানবাহন থেকে নির্গত দূষিত ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ, কলকারখানা ও পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিষ্কার রাখা, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের দিকে বাংলাকে জোর দিতে বলছে দিল্লির সংস্থা।
Comments are closed.