মার্চের পর এই প্রথম কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের কোভিড বেড খালি, ভর্তি আইসিইউ

এই প্রথমবার কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের কোভিড জেনারেল ওয়ার্ডে শয্যা খালি থাকার খবর। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, করোনার মৃদু উপসর্গ থাকা রোগীদের বেশিরভাগই এখন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন। সেফ হোমে থাকছেন। তাছাড়া করোনা রোগীদের হয়রানি কমাতে বেসরকারি হাসপাতালে কত খালি শয্যা আছে তার তালিকা প্রকাশ করা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। যার ফলে গত মার্চের পর এই প্রথমবার বেসরকারি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বেড ফাঁকা পাওয়া যাচ্ছে। তবে আইসিইউগুলির অবস্থা আগের মতোই। সেখানে বেড নেই। অর্থাৎ, করোনা সংক্রমিত আশঙ্কাজনক রোগীদের সংখ্যা এখনও বেশি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

বেসরকারি হাসপাতালের কোভিড জেনারেল ওয়ার্ডের এখন কী অবস্থা? 

আমরি হাসপাতালের ৯০ টি জেনারেল কোভিড বেডের মধ্যে ২০ শতাংশ এখন ফাঁকা রয়েছে। তবে তাদের তিনটি শাখায় ৭৫ টি আইসিইউ বেডই বর্তমানে ভর্তি।

পিয়ারলেস হাসপাতালের ১২০ টি জেনারেল কোভিড বেডের প্রায় ২০ শতাংশই এখন ফাঁকা। ২০ টি আইসিইউ বেডের মোটামুটি ১৫ থেকে ১৮ টা ভর্তি থাকছে বলে জানা গিয়েছে।

আইএলএস হাসপাতালেও জেনারেল কোভিড বেডে ১০ শতাংশ রোগী কমে গিয়েছে। কিন্তু আইসিইউতে জায়গা থাকছে না।

আর এন টেগোর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সেস (RTIICS) জানাচ্ছে, তাদের কাছে বর্তমানে ৮০ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। এছাড়া ৩০ জন রোগীকে স্যাটেলাইট পরিষেবার মাধ্যমে দেখাশোনা করা হচ্ছে। তবে সেখানেও আইসিইউ একেবারে ভর্তি বলে জানাচ্ছেন জোনাল ডিরেক্টর আর ভেঙ্কটেশ।

মেডিকায় ৪০ টি নন-আইসিইউ বেডের মধ্যে ৩ টি খালি আছে।

অ্যাপেলো গ্লেনেগেলসেও করোনা রোগীর জন্য জেনারেল ওয়ার্ডে জায়গা আছে।

আমরির সিইও রুপক বড়ুয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীরা তেমন একটা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। তাঁরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাই শ্রেয় মনে করছেন। অন্যদিকে যাঁদের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে তাঁরা আইসিইউতে ভর্তির আবেদন করছেন। সে কারণেই আইসিইউ বেডগুলো কোনও সময় খালি থাকছে না। তাই আশঙ্কাজনক রোগীদের জন্য HDU বেড বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরি কর্তৃপক্ষ। বড়ুয়া জানান, সল্টলেক আমরিতে গত সপ্তাহেই ৬ টি এইচডিইউ বেড আনা হয়েছে। আরও ৬ টি শয্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।

Comments are closed.