জানুয়ারি মাসে প্রবল বিক্ষোভের মধ্যে কলকাতায় এসে পোর্টের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন কলকাতা বন্দরের নাম বদলে করা হবে হিন্দু মহাসভার নেতা তথা ভারতীয় জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির নামে। তারপর তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়। একমাত্র বঙ্গ বিজেপি ছাড়া সমস্ত রাজনৈতিক দল কলকাতা বন্দরের নাম বদলের বিরোধিতা করে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির নামেই সিলমোহর পড়ে গেল। এর ফলে এখন থেকে কলকাতা বন্দর কিংবা বন্দরের নেতাজি সুভাষ ডকের আর কোনও অস্তিত্ব রইল না। গোটা বন্দরটিই এখন থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বন্দর নামে পরিচিত হবে।
বুধবার এই নাম বদলের উপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আনুষ্ঠানিক সিলমোহর পড়ার পর দিল্লি থেকে জানানো হয়, বাংলার মানুষের আবেগের কথা মাথায় রেখেই গত ১২ জানুয়ারি কলকাতা বন্দরের ১৫০ বছর পূর্তিতে নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদের নামে করার কথা ঘোষণা হয়।
মোদী কলকাতায় এসে এই ঘোষণা করার পরই তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বিখ্যাত বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এই সুযোগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালেরও নাম বদলের দাবি তুলেছিলেন। বিতর্কের উত্তাপ বাড়িয়েছিল সেই প্রস্তাব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভিক্টোরিয়ার নাম বদলের বিষয়ে দিল্লি কিছু না জানালেও, আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা বন্দরের নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর হয়ে গেল।
বঙ্গ বিজেপিতে খুশির হাওয়া। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে ধন্যবাদও জানানো হয়।
বুধবারই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
Comments are closed.