মুম্বই থেকে দিল্লি, করোনা মহামারির সময়ে দেশের নানা প্রান্তে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বহু সাংবাদিকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসছে। ব্যতিক্রম নয় এ রাজ্যও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সাংবাদিক বৈঠকে একাধিকবার সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। জানতে চেয়েছিলেন যথাযত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সংবাদকর্মীরা বেরোচ্ছেন কিনা। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে এবং কলকাতা প্রেস ক্লাবের সহযোগিতায় সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে।
চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশের সঙ্গে বহু সাংবাদিক মহামারির সময়ে সামনে থেকে লড়াই করছেন। পেশার তাগিদে সাংবাদিকরা অনেক সময়ই করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে চলে আসছেন। ফলে তাঁদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
কলকাতায় যে সাংবাদিক ও চিত্রসাংবাদিকরা হাসপাতাল এবং বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় গিয়ে খবর সংগ্রহ করছেন, কলকাতা প্রেস ক্লাব তাঁদের কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে প্রতিদিন বেলা ১২টায় ১৫ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকদের তাঁদের সংস্থার থেকে স্বাক্ষরিত একটি তালিকা প্রেস ক্লাবের [email protected] এই ঠিকানায় পাঠাতে আবেদন করা হয়েছে। তালিকায় সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের মোবাইল নম্বর ও ই-মেল দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ফ্রিলান্স সাংবাদিকরা নিজেরাই দরখাস্ত করতে পারবেন। প্রত্যেককে আধার কার্ড নিয়ে যেতে হবে বা নিজের আধার নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগবে এবং এই রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবন সোজা পাঠিয়ে দেবে কলকাতা প্রেস ক্লাবে। যদি সাংবাদিক বা চিত্র সাংবাদিকের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়, তাহলে তা দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিদিন বিভিন্ন সংস্থার ১৫ জনের তালিকা প্রেস ক্লাব থেকে তৈরি করা হবে৷ যাদের নাম প্রেস ক্লাব থেকে পাঠানো হবে শুধু তাঁদেরই রক্ত ও লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হবে। যে সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরা সরাসরি অকুস্থলে যাচ্ছেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
Comments are closed.