এম এ পাশ চাওয়ালির কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এবার শোনা গেল ইঞ্জিনিয়ার চাওয়ালার কথা। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল কৃষ্ণনগরের ইঞ্জিনিয়ার চা ওয়ালা রনি দাস। TheBengalStory র সঙ্গে কথা বলল। জানাল কীভাবে একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছেলে এখন দিনরাত এক করে সামলাচ্ছেন চায়ের দোকান।
কৃষ্ণনগরের স্টেশনের কাছেই রায়পাড়া ঘাটলেনে বাড়ি রনির। আর চায়ের দোকান কৃষননগরের শক্তিনগর হাসপাতাল চত্ত্বরে। ভোর পাঁচটা থেকে দোকান খোলেন রনি। দোকান খোলা থাকে রাত নটা পর্যন্ত। দোকানে চা ছাড়াও কেক হরেক রকম বিস্কুট, মুড়ি পাওয়া যায়।
২০২১ সালে তেহট্ট বিআরআম্বেদকর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করেছেন রনি। কিন্তু কোভিডের কারণে কলেজে বন্ধ হয়ে যায় ক্যাম্পাসিং। কলেজের স্যাররা শুধু ফর্ম পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন। সেইভাবে কোম্পানির সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া বা সামনা সামনি বসিয়ে কথা বলানোর কোনও সুবিধা করে দেওয়া হয়নি। ইন্টারভিউ কোম্পানিতে গিয়ে দিয়ে আসতে হচ্ছিল যেগুলির বেশিরভাগ বাংলার বাইরে। বাড়িতে অসুস্থ বাবা। মা বাবার একমাত্র সন্তান রনির বাইরে গিয়ে কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। সংসার চালাতে অসুস্থ বাবার দোকান নিজের কাঁধে তুলে নেন রনি। দোকানে গিয়ে বসেন তিনি। এরপর ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার চাওয়ালা বিখ্যাত হয়ে যান। এখন ফেসবুক জুড়ে শুধুই কৃষ্ণনগরের ইঞ্জিনিয়ার চাওয়ালার নাম।
তাঁর চায়ের দোকানে রয়েছে অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থার সুবিধাও। ছোট্ট দোকানটির সামনের দিকে নীচের অংশে রয়েছে একটি বড় ব্যানার। যেখানে লেখা রয়েছে বড় বড় হরফে “ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার চা ওয়ালা”। মাসে একটা দিনও ছুটি নেই রনির। নিয়ম করে চায়ের দোকান সামলিয়ে সময় পেলেই মোবাইল সারাই করেন তিনি। অনেকেই জানেন রনির মোবাইল সারাইয়ের কথা। তাই খারাপ হয়ে যাওয়া মোবাইল তাঁকে সারাইয়ের জন্য অনুরোধ করেন অনেকে। এইসব মধ্যেও TheBengalStory কে তিনি জানান, গান শুনতে ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে গান শুনে মন ভালো রাখার চেষ্টা করি।
ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিত হয়েছেন রনি দাস।
Comments are closed.