ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার, ২৮ তারিখ বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে এবার আরও বড়ো সমাবেশ করতে চায় বামেরা। সিপিএমের পাশাপাশি অন্যান্য শরিক দল অর্থাৎ বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের যৌথ ব্রিগেডের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের কাছে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল-বিজেপি দ্বৈরথে যে বাম-কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক নয়, তা কর্মীদের বোঝাতে ব্রিগেডের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সিপিএমের একাংশ।
তাঁরা বলছেন ফেব্রুয়ারির শেষ দিন ব্রিগেড সমাবেশে প্রচুর জনসমাগম আসন্ন ভোটে বাম-কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের মনোবল বৃদ্ধি করবে। তৃণমূল ও বিজেপির বিকল্প হিসেবে বাম ও কংগ্রেস জোট উঠে আসবে বলে মনে করেন বাম নেতারা। তাই ব্রিগেডকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে জোট।
আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, শুরুতে মার্চের প্রথম রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ করবে বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু তারপরই দিল্লি থেকে খবর আসে মার্চের শুরুতেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাবে। তাই ভোট ঘোষণার ঠিক আগে বিশাল জমায়েত করে কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়ানো যাবে মনে করছেন বাম নেতৃত্ব।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় এসে সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন ব্রিগেডে রাহুল গান্ধীকে আনা যায় কিনা তা দেখবেন তিনি। পাশাপাশি বিজেপি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও মঞ্চে হাজির করাতে চায় বামেরা। সবমিলিয়ে ফেব্রুয়ারির শেষ দিন ব্রিগেড সমাবেশের মধ্যে দিয়ে পুরোদস্তুর ভোট যুদ্ধে নেমে পড়ছে বাম-কংগ্রেসের জোট।
Comments are closed.