চার বছর আগে আরবিআইকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নাম প্রকাশ করতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থের পরিপন্থী হবে এবং ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বিশ্বস্ততার সম্পর্ক ভেঙে যাবে, এই যুক্তি দিয়ে ঋণখেলাপিদের নাম প্রকাশ্যে আনতে অনিচ্ছুক ছিল দেশের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক। তবে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে The Wire-এর আরটিআইয়ের জবাব দিয়েছে আরবিআই। তথ্যের অধিকার আইনে আরবিআই-র তথ্য বলছে, দেশের ব্যাঙ্কগুলি থেকে বিশাল পরিমাণ ঋণ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টায় যে সংস্থা বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দিকে আঙুল উঠেছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মেহুল চোকসি।
ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে বা যাঁরা ইচ্ছে করে ঋণশোধের ব্যাপার এড়িয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বলে অভিহিত করেছে আরবিআই। তারা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের যে তালিকা দিয়েছে, তা সেন্ট্রাল রিপজিটরি অফ ইনফর্মেশন বা সিআরআইএলসি-র ডেটাবেস থেকে নেওয়া।
তবে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের মোট ঋণখেলাপের পরিমাণ বা নন পারফর্মিং অ্যাসেটের কোনও বিস্তারিত তথ্য দেয়নি তারা। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি সংস্থাগুলির মধ্যে কয়েকটির নাম হল গীতাঞ্জলি জেমস লিমিটেড, রেই অ্যাগ্রো লিমিটেড, রোটম্যাক গ্লোবাল, জুম ডেভেলপারস, ডেকান ক্রনিক্যাল হোল্ডিংস, উইনসাম ডায়মন্ডস, সিদ্ধি বিনায়ক লজিসটিক্স বা তাদের প্রোমোটার। গত পাঁচ বছরে এদের বিরুদ্ধে হয় ইডি কিংবা সিবিআই মামলা ঠুকেছে। এদের মধ্যে কয়েকটা সংস্থার নাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও পাঠিয়েছিলেন আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।
উল্লেখ্য, ট্রান্স ইউনিয়ন সিবিল ডেটা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার সংস্থার বিরুদ্ধে ঋণখেলাপের অভিযোগ উঠেছে। যার আর্থিক পরিমাণ ১.৬১ লক্ষ কোটি টাকা।