লকডাউনের মধ্যে যাঁরা জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন, সেই পরিবহণ দফতরের গাড়ি চালকদের জন্য বিশেষ পোশাক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণার পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পথে। জরুরি পরিষেবা বাদে বাস, অটো, ট্যাক্সি সহ সব ধরনের গণপরিবহণ বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছনো, বা হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার মতো বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্স ও প্রাইভেট কারের ছাড়পত্র রয়েছে। তা ছাড়াও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে রাজ্য পরিবহণ দফতরের কিছু বাস চলছে। এই সব গাড়ির চালক ও কর্মীদের সুস্থতার দিকে খেয়াল রেখে এবং করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। পরিবহণ দফতরের তরফে তাঁদের জন্য মাস্ক ও বিশেষ পোশাকের বন্দোবস্তও করা হয়েছে।
পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, সরকারি বাসের বহু কর্মী এই পরিস্থিতিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তাঁদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে দফতরের পক্ষ থেকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আগেই জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় কাজ করছেন এমন ১০ লক্ষ মানুষের প্রত্যেকের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার বিমা করবে রাজ্য।
সে সুবিধা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ইত্যাদির পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স চালকরাও পেতে পারেন। কিন্তু পরিবহণ দফতরের অধীনে যে গাড়ি চালক, কনডাক্টর বা অন্য কর্মীরা লকডাউনের মধ্যেও কাজ করছেন, তাঁদের শারীরিক সুরক্ষার দিকে নজর দিয়ে বিশেষ পোশাকেরও বন্দোবস্ত করা হল।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গোটা রাজ্যে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতা শহর এবং জেলাগুলিতে পুলিশ অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। লকডাউনের মধ্যেও যারা বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়েছে, পুলিশ তাদের আটক করেছে। মানুষ এবং গাড়ি আটকে প্রয়োজনীয় কাগজ দেখতে চেয়েছে। পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি নাগরিকরা।
Comments are closed.