রাজ্য সহ দেশে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর মিটিংয়ের পর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
দেশে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে লকডাউনের মেয়াদ, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনই প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। সূত্রের খবর, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রী এ’কথা জানান। ৩০ এপ্রিল ফের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। ২-৩ দিনের মধ্যেই জারি হয়ে যাবে গাইড লাইন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানিয়েছেন, লকডাউন অব্যাহত রাখা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু তা যেন কখনওই মানুষের জীবন ও জীবিকাকে বিপন্ন না করে, তা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। মমতা বলেন, লকডাউন হোক আরও মানবিক। পাশাপাশি রাজ্যবাসীর কাছে হাত জোড় করে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, আগামী ২ সপ্তাহ দয়া করে ঘরে থাকুন। রাস্তায় ঘোরাঘুরি করবেন না। আগামী ১৪ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রসঙ্গেই ওঠে হটস্পটের কথা। মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের একাংশকে বিভিন্ন জায়গায় হটস্পট চিহ্নিত করে খবর প্রচার বারণ করেন। তিনি বলেন, কোন এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে তা কেবলমাত্র সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানবেন। এগুলো প্রকাশ্যে বলে বেরানোর জিনিস নয়। মমতা বলেন, ভবানীপুরের বাসিন্দা একজন করোনা আক্রান্ত হওয়ার অর্থ গোটা ভবানীপুর বন্ধ করে দেওয়া নয়। লকডাউন পালনে কড়াকড়ি করা হবে ঠিকই, কিন্তু বাড়াবাড়ি করা হবে না, শনিবার ফের বলেন মমতা ব্যানার্জি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যগুলোর জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। জাপান, আমেরিকা, ইংল্যান্ডের উদাহরণ তুলে ধরে মমতা মোদীকে বলেছেন, এই দেশগুলো নিজেদের ডিজিপির অন্তত ১০ শতাংশ খরচ করছে করোনা মোকাবিলার স্বার্থে। ভারতের ক্ষেত্রেও তেমন করা হোক। মমতার প্রস্তাব, ভারতের জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ বা ১০ লক্ষ কোটি টাকা করোনা মোকাবিলায় খরচ ধার্য করা হোক। প্যাকেজ ঘোষণা হোক অসংগঠিত ক্ষেত্র এবং ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে ৬ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে বর্তমানে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫। লকডাউন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর পাশাপাশি রাজ্যে স্কুল-কলেজের ছুটি ১০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, লকডাউনের মধ্যে দয়া করে ঘরে থাকুন। কড়াকড়ির অর্থ দোকান-বাজার বন্ধ করে দেওয়া নয়। তবে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোনো যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান ঘরে বসেই পালন করুন।
Comments are closed.