Lockdown Impact: দেশের সবচেয়ে ধনী তিরুপতি মন্দিরে ছাঁটাই ১৩০০ কর্মী, চুক্তি পুনর্নবীকরণে নারাজ মন্দির ট্রাস্ট
করোনাভাইরাস এবং তা রুখতে লকডাউন, কাজ কেড়েছে লক্ষ লক্ষ। রোজই বিভিন্ন কল কারখানা থেকে অফিস, চলছে ছাঁটাই। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালো ভারতের সবচেয়ে ধনী মন্দির হিসেবে পরিচিত তিরুপতি। জানা গিয়েছে, ১ মে থেকে ১৩০০ কর্মীকে কাজে আসতে না করে দিয়েছে তিরুপতি তিরুমালা দেবস্থানম।
দেশের সবচেয়ে ধনী মন্দির হিসেবে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতির নাম সবার আগে। মন্দিরের এ বছরের বাজেট ৩৩০৯ কোটি টাকা। গয়না বাদ দিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে তিরুপতি তিরুমালা দেবস্থানমের ১২ হাজার কোটি টাকা জমে আছে। তা থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষ বছরে সুদ বাবদ পায় ৪৮০ কোটি টাকা।
মন্দিরের দায়িত্বে থাকা তিরুমালা তিরুপতি দেবদাস্থানম ট্রাস্ট সূত্রের খবর, গত ৩০ এপ্রিল কর্মীদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর নতুন করে চুক্তিপত্র তৈরি করেনি। কর্মী সরবরাহকারী সংস্থাকে জানানো হয়েছে, আপাতত আর চুক্তি পুনর্নবীকরণ হচ্ছে না। যার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মন্দিরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও দর্শনার্থীদের দেখাশোনার কাজে নিযুক্ত ১৩০০ কর্মী। গত ২০ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে তিরুপতি মন্দির। এখন কেবলমাত্র কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।
তাহলে কর্মহীন হয়ে পড়া কর্মীরা কী করবেন? তার কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের। তাঁদের শুধু বলা হয়েছে, কিছু সাহায্য করা হতে পারে। যদিও সুত্রের খবর এই মুহূর্তে সংস্থার সঙ্গে নতুন করে কোনও চুক্তি করতে ইচ্ছুক নয় মন্দির ট্রাস্ট।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে সাড়া না পেয়ে এবার রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন ওই কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের নিয়ে একটি পুল তৈরির কথা জানিয়েছেন। সেখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মী সরবরাহ করা হবে।