২০১৮ সালে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ১ কোটি মানুষ, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেসসহ বিরোধীরা

সম্প্রতি দেশের কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান সম্বলিত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি বা সিএমআইই। রিপোর্টে প্রকাশ, ২০১৭ এর ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ১০ মিলিয়ন বা এক কোটি মানুষ। সিএমআইই-র এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হল কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র মনীশ তেওয়ারি রবিবার জানান, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে বছরে ২ কোটি অর্থাৎ, ৫ বছরে ১০ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কর্মসংস্থান তো আশানুরূপভাবে বাড়েইনি, উল্টে তা গত বছর কমেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার।
রিপোর্টের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে কংগ্রেস জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে যেখানে কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০৭.৯ মিলিয়ন, ২০১৮ এর ডিসেম্বরে তা হয়েছে ৩৯৭ মিলিয়ন। অর্থাৎ কাজ হারিয়েছেন ১০.৯ মিলিয়ন বা ১ কোটিরও বেশি মানুষ।
এই কাজ হারানো মানুষের অধিকাংশই অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, কর্মী, কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। কাজ হারানো মানুষের মধ্যে প্রায় ৪০ লক্ষ মহিলা বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। অন্যদিকে, কাজ হারিয়েছেন প্রায় ২০ লক্ষ গ্রামীণ পুরুষ। শহরে অবশ্য প্রায় ৫ লক্ষ নয়া কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে তা সার্বিক কর্মহীনতার তুলনায় নগন্য। শতাংশের হিসেবে, গত ২০১৭ সালের ৬.৬ শতাংশের তুলনায় ২০১৮ এর শেষে বেকারত্ব বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশ (৭.৪)।
কংগ্রেসের দাবি, পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট নোট বাতিলের প্রভাব কর্মক্ষেত্রে পড়েছে। বিরোধীরা বারবার বলে এসেছে, নোটবন্দির প্রভাব পড়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে।
এই পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করে গত শুক্রবার রাতে একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাতে তিনি লিখেছেন, কাজ হারাচ্ছেন মানুষ, এদিকে ‘জুমলা রাগ’ গেয়ে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী।

Comments are closed.