SBI Emergency Loan: কারা কীভাবে পাবেন এই ঋণের সুবিধা?

পরিবারে বা ব্যক্তিগত পরিসরে নগদের ঘাটতি দেখা দিলে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ বা লোনের নিয়ে থাকি আমরা। গৃহঋণ বা গাড়ির ঋণ ছাড়াও ব্যক্তিগত ঋণ বা personal loan -এর চাহিদা এখন বেশ ভালো।

ব্যক্তিগত ঋণের পরিমাণ প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এক নয়। ব্যক্তির বার্ষিক আয়ের উপরই তা নির্ভর করে। অর্থাৎ, মাস প্রতি EMI দেওয়ার ক্ষমতা নির্ধারিত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বার্ষিক আয়। এদিকে লকডাউনে বন্দি দেশে কেবল অত্যাবশ্যকীয় কাজগুলি হচ্ছে। যার ফলে অন্যান্য ব্যবসায়িক ক্ষেত্র বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। আর এর জেরে কোথাও কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে, কোনও অফিসে আবার কর্মীদের বিনা বেতনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। ১৭ মের পর লকডাউন উঠছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যে আবার পুরো মে মাসই লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বাড়ি বসে ব্যাঙ্কিয়ের সুবিধা দিয়েছে প্রায় সব ব্যাঙ্কই। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) দিচ্ছে emergency loan -এর সুবিধা।

অতিমারি করোনাভাইরাসে প্রভাবিত এবং যাঁদের এমার্জেন্সি ফান্ডের প্রয়োজন, তাঁদের জন্য SBI Emergency Loan -এর সুবিধা।

 

SBI Emergency Loan সুদ কত?

এমার্জেন্সি লোনের সুদ অন্যান্য লোনের থেকে কম। সাধারণ ব্যাঙ্ক লোনের বছরে ইন্টারেস্ট রেট মোটামুটি ১০.৫০ শতাংশের আশেপাশে থাকে। সেখানে SBI Emergency Loan -এর সুদ ৭.২৫ শতাংশ, যে হার অন্যান্য লোনের থেকে অনেকটাই কম।

 

SBI Emergency Loan এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া কী?

যেহেতু লকডাউনে সবাই বাড়িতেই বন্দি। তাই এমার্জেন্সি লোন নিতে আবেদন করা যাবে অনলাইনে। যে কোনও সময়ে গ্রাহকরা এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য ফিজিক্যাল ডকুমেন্টেশনেরও প্রয়োজন নেই।

 

কারা আবেদন করতে পারেন SBI Emergency Loan এর জন্য?

বলে রাখা প্রয়োজন, সবার জন্য এই ঋণ নয়। শুধুমাত্র তাঁরাই এই লোনের সুবিধা পাবেন, যে গ্রাহকদের আয় ও ব্যয় অনুযায়ী ব্যাঙ্ক এই লোন অ্যাপ্রুভ করেছে। এই এমার্জেন্সি লোন পাওয়ার জন্য কেউ যোগ্য কি না জানতে এসএমএস করতে পারেন 567676 নম্বরে ”PAPL <space> <last 4 digits of your bank account>” লিখে।

 

আবেদন প্রক্রিয়া (How to Apply for SBI Emergency Loan?)

how to apply for sbi emergency loan

 

যদি আপনি ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন তবে, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইসে ডাউনলোড করুন YONO SBI অ্যাপ। তারপর অ্যাপে গিয়ে ক্লিক করুন “Pre-approved loan” অংশে। তারপর টেনিওর (Tenure) ও লোন অ্যামাউন্ট (loan ammount) সিলেক্ট করতে হবে। এবার OTP বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডে এন্টার করুন। এমার্জেন্সি লোন আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকল বলে।

 

এমার্জেন্সি লোন পেতে কত সময় লাগে?

এসবিআই থেকে এই লোন পাওয়া যাবে মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে। এসবিআই জানিয়েছে, যে সমস্ত গ্রাহকরা এই লোন নেবেন তাঁদের আগামী ৬ মাস পর্যন্ত কোন কিস্তি দিতে হবে না। ৬ মাস পর থেকে ইএমআই শুরু হবে। এমার্জেন্সি লোন শুধুমাত্র নিজেদের গ্রাহকদের জন্য বের করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।

 

পার্সোনাল লোন নিতে কী করণীয়?

ঋণের যোগ্যতা (Eligibility)

পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করা ব্যক্তির নিয়মিত আয় থাকা বাধ্যতামূলক। মাসিক বা বার্ষিক আয় নেই, এমন কেউ ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। সরকারি, বেসরকারি বা MNC তে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ঋণের পদ্ধতি তুলনায় সহজ।

বয়স (Age)

এ দেশে ঋণের জন্য আবেদনের ন্যূনতম বয়স ২১। সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত ঋণের জন্য আবেদন করা যায়।

ক্রেডিট স্কোর (Credit Score)

আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। বিশেষত বেসরকারি ব্যাংকগুলির ক্ষেত্রে। বিগত ঋণ শোধের সময়, পরিমাণ ইত্যাদির বিচারে নির্ধারিত হয় ক্রেডিট স্কোর।

সুদের হার (Interest Rate)

অধিকাংশ ব্যাঙ্কই ১০.৫০ শতাংশ হারে ব্যক্তিগত ঋণ বা পার্সোনাল লোন দিয়ে থাকে।

 

ব্যক্তিগত ঋণের জন্য যে নথি প্রয়োজন

Emergency-Loan

 

ব্যক্তিগত ঋণের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে যে যে নথি বা ডকুমেন্ট সঙ্গে থাকা প্রয়োজন। দেখে নেওয়া যাক একনজরে –

১) সই করা আবেদনপত্র

২) পাসপোর্ট সাইজ ফটোগ্রাফ

৩) স্যালারি (বেতন) স্লিপ (শেষ তিন মাসের)

৪) শেষ ছ’মাসের ব্যাংকের স্টেটমেন্ট

৫) সরকারি পরিচয়পত্র এবং ঠিকানার প্রমাণ (ভোটার্স কার্ড, PAN কার্ড, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স)

৬) এমপ্লয়ি আইডি

৭) EMI তথ্য রয়েছে এমন ব্যাংকের স্টেটমেন্ট

Comments are closed.