২০২১ এর বিধানসভায় ফায়দা তুলতে লাশের রাজনীতি বিজেপির, বাংলাকে বদনাম করতে ধনখড়কে পাঠিয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের

গোটা বিশ্ব যখন লড়ছে মারণ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে, তখন সব ছেড়ে বাংলাকে অপদস্থ করার একমুখো নীতি নিয়েছে কেন্দ্র। ঠিক এই ভাষাতেই মোদী সরকারের দিকে আক্রমণ শানাল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দলীয় ওয়েবিনারে রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি এবং দুই বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী ও পার্থ ভৌমিক একযোগে আক্রমণ করেন কেন্দ্রকে। বাদ যাননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জির বিস্ফোরক অভিযোগ, করোনাভাইরাস যে মহামারির আকার নিতে পারে তা জেনেও রাজ্যগুলোকে সতর্ক করেনি কেন্দ্র।

২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। লোকসভায় ভালো ফলের পর এবার বিধানসভা জয়ের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। আর এই ইস্যু নিয়েই এবার বিজেপিকে কোণঠাসা করার নীতি নিল তৃণমূল। বিধায়ক সমীর চক্রবর্তীর অভিযোগ, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ফায়দা তুলতে লাশের রাজনীতি করছে বিজেপি। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্যে করোনা পরিস্থিতিকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন বিজেপির নেতারা। আর তাই কখনও শীর্ষ নেতারা ফেক ভিডিও শেয়ার করা আবার কখনও কেন্দ্র থেকে দল পাঠিয়ে বাংলা সম্পর্কে ভুল বার্তা দিতে চাইছে তাঁরা।

তৃণমূলের অভিযোগ, মমতা ব্যানার্জি প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করার দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু তাও তাঁর সেই দাবি তখন উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে ফ্লাইট বন্ধ করলে মারণ ভাইরাসের প্রকোপ এতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারতো না, বলে দাবি তৃণমূলের।

রাজ্যের শাসক দলের কটাক্ষ থেকে বাদ যাননি রাজভবনের বাসিন্দাও। তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলাকে বদনাম করার কাজ দিয়ে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে জগদীপ ধনখড়কে। তিনি সেই নির্দেশই পালন করছেন, বলেও কটাক্ষ তৃণমূলের।

ওয়েবিনার থেকে করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের সার্বিক ব্যর্থতার অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতারা। তাঁরা বলেন, বিজেপি শাসিত গুজরাত কিংবা শিবরাজের মধ্যপ্রদেশে করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে এই আচরণ করছে না। তাদের টার্গেটে কেবলমাত্র বাংলা।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের কড়া চিঠি নিয়েও এদিন পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় গিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, এই চিঠি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এখন যখন করোনা তাণ্ডব মধ্যগগনে, তখন আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর খুলে দেওয়ার মতো ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এর পিছনে থমকে যাওয়া অর্থনীতির চাকাকে ঘোরানো নয়, বরং বাংলাকে আরও কালিমালিপ্ত করাই উদ্দেশ্য, বলে দাবি তৃণমূলের। বিধায়ক পার্থ ভোমিকের প্রশ্ন, সীমান্ত খুলে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে করোনা আক্রান্তকে ডেকে আনার রাস্তা সাফ করা হচ্ছে? বিজেপিকে চরম বাঙালি বিরোধী বলেও বর্ণনা করেন তিনি।

Comments are closed.