তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে আদালতের সওয়াল-জবাবে কিছু মনেই করতে পারলেন না সাংবাদিক এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবর। যৌন হেনস্থার অভিযোগকারিণী সাংবাদিক প্রিয়া রামানির সঙ্গে তাঁর কোথায় সাক্ষাৎ হয়েছিল তাও মনে করতে পারলেন না আকবর।
২০১৮ সালে সাংবাদিক তথা প্রাক্তন বিদেশ রাষ্ট্রমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। তাঁর অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে পাল্টা মানহানির মামলা করেছিলেন এম জে আকবর। শনিবার দিল্লির অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সমর বিশালের এজলাশে হাজির হয়ে আকবর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, তাঁর সম্মানহানির জন্য যৌন হেনস্থার মামলা করা হয়েছে। কিন্তু প্রিয়া রামানির আইনজীবী যখন তাঁর মক্কেলের ‘এশিয়ান এজ’-এ নিয়োগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি প্রশ্ন করেন, উত্তরে আকবর বলেন, ‘আমার মনে নেই’। ‘এশিয়ান এজ’-এর সম্পাদক থাকাকালীন তাঁর ও প্রিয়া রামানির সাক্ষাতের বিষয় তিনি কিছুই মনে করতে পারছেন না বলে আদালতে জানান আকবর।
সেই সময় আকবরের আইনজীবী একাধিকবার প্রিয়া রামানির আইনজীবীকে বাধা দেন। আকবরের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি জানান, অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলা এটি। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে দোষীর দু’বছর পর্যন্ত সাজা ঘোষণা হতে পারে।
২০১৮ সালে ‘মি টু’ মুভমেন্ট চলাকালীন বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত একাধিক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। প্রিয়া রামানি নামে এক সাংবাদিক অভিযোগ করেছিলেন, ১৯৯৪ সালে মুম্বইয়ের একটি হোটেলে ইন্টারভিউয়ের নামে ডেকে তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন এম জে আকবর। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ২৩ আর আকবরের ৪৩। লবির বদলে ওই মহিলা সাংবাদিককে হোটেলের রুমে যেতে বলেন আকবর। সেখানে আকবর তাঁকে মদ্যপানের প্রস্তাব দেন। তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ করেন প্রিয়া রামানির। এই অভিযোগের পর পরই অন্তত পাঁচ জন মহিলা সাংবাদিক আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। ২০১৮ সালে এই প্রেক্ষিতে চাপে পড়ে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে হয় আকবরকে। এরপর, রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন এম জে আকবর।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ শে মে।
Comments are closed.