মিলল না কংগ্রেসের সমর্থন, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন ফের অনিশ্চিত

মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে জট কেটেও কাটল না শেষ মুহূর্তে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শিবসেনা নিশ্চিত ছিল এনসিপি এবং কংগ্রেসকে নিয়ে তারা সরকার গড়ে ফেলবে। কংগ্রেস থেকে যথা সময়ে সমর্থনের চিঠিও চলে আসবে রাজ্যপাল ভগত সিংহ কোশিয়ারির কাছে। কিন্তু সমর্থনের চিঠির বদলে কংগ্রেসের তরফ থেকে এল এক বিবৃতি। তাতে সরকার গড়া নিয়ে একটি কথাও নেই। বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের এই পরিস্থিতি নিয়ে এনসিপির সঙ্গে কংগ্রেসের আলোচনা বহাল থাকবে। এই বিবৃতি দেখে হতাশ হয়ে পড়ে শিবসেনা। সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য রাতে রাজভবন থেকে ফিরে আসেন ব্যর্থ মনোরথ হয়ে। তিনি বলেন, রাজ্যপাল সরকার গড়ার মত সংখ্যা আমাদের আছে কি না জানতে চেয়েছিলেন। আমরা সেই সংখ্যার জোর দেখাতে পারিনি। তার জন্য ৩ দিন সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্যপাল সেই সময় দিতে চাননি।

এই অবস্থায় বেশি রাতে রাজ্যপাল তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে এনসিপিকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানান। তাদেরও রাজ্যপাল একদিন সময় দিয়েছেন। রাতে এনসিপি নেতারা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেও জট কাটেনি। রাত অবধি নাটক অব্যাহত থাকে। তবে সোমবার দিনভর যেভাবে ঘটনাপ্রবাহ এগিয়েছিল তাতে শিবসেনা তো বটেই, দেশের সব রাজনৈতিক মহলই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল, এনসিপি এবং কংগ্রেসের সমর্থনে উদ্ধবের নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়ে যাবে। একান্ত যদি কংগ্রেস সরকারে যোগ নাও দেয় তাহলে তারা বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন করবে। এরকমটাই ভেবেছিল শিবসেনা। তাদের বিশ্বাস ছিল, এনসিপি সরকারে সামিল হবে। বিকেলে একটা সময় সেই আশাতেই উদ্ধব কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন। তাঁকে সনিয়া জানিয়েছিলেন, কিছুক্ষণ পরই কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। এতে শিবসেনা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হয় কংগ্রেস সরকার গঠনে তাদের সাহায্য করবে। কিন্তু সব আশাতেই কার্যত জল ঢালা হয়ে যায় কংগ্রেসের ওই বিবৃতি আসার পরে। এদিকে মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে দেখতে লীলাবতি হাসপাতালে যান এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার পথে সাংবাদিকরা জানতে চান, এনসিপির সঙ্গে কংগ্রেসের আজ কোনও বৈঠক আছে কিনা। সেরকম কোনও খবর তাঁর কাছে নেই বলে জানিয়ে পওয়ার চলে যান। এখন দেখার, সারাদিনে নাটকের আর কী কী অঙ্ক ঘটতে পারে।

Comments are closed.