সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের আবেদন। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল বা রাজ্য সরকারের রিলিফ ফান্ডে অর্থ সাহায্য করা হলে তা কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বা CSR এর আওতায় পড়বে না। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। সোমবার তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর এস রেড্ডি এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চ মামলাটি শোনার সময় খেয়াল করেন, মহুয়া মৈত্র প্রায় একই ধরনের আবেদন আগেও করেছিলেন। গত ৫ মে তাঁর সেই আবেদন খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই মহুয়া মৈত্রের নতুন আবেদনটিও খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
সেই সময় মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী রোহিত অনিল রাঠি আদালতকে জানান, গত ৫ মে আগের আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। তাই এই আবেদনটি নির্দিষ্টভাবে ধরে নিয়ে বিচার করুক আদালত। কিন্তু বেঞ্চ বলে, একজন পিটিশনার কীভাবে একই বিষয়ের উপর দু’বার আবেদন করতে পারেন? মে মাসে একবার পিটিশন দাখিল করার এখন আবার নতুন করে আবেদন করে ঠিক কাজ করেননি। এভাবে খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি হয়। তারপরই মহুয়া মৈত্রের আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
সমস্যার সূত্রপাত পিএম কেয়ারস ফান্ড নিয়ে। সেই তহবিলে অর্থ সাহায্য করা হলে, তা কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির আওতায় পড়বে। কিন্তু রাজ্যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের ত্রাণ তহবিল বা রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিলে CSR এর সুবিধা মেলে না। এই বৈষম্য দূর করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি ছিল, কেবলমাত্র পিএম কেয়ারস ফান্ডে এই সুবিধা দেওয়া হলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলকেও দিতে হবে। তাতে যাঁরা অর্থ সাহায্য করছেন, তাঁদেরও সুবিধা হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করা হয়, কোম্পানি আইনের ১৩৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল বা রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে দেওয়া অর্থ সাহায্য CSR এর আওতায় পড়ে না।
মহুয়া মৈত্রের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, কর্পোরেট অনুদানের ক্ষেত্রে যেখানে ছাড় মিলবে, স্বভাবতই সেখানে অনুদান দিতে আগ্রহ দেখাবে বিভিন্ন সংস্থা। তাহলে এক্ষেত্রে অনুদান যাবে পিএম কেয়ারস ফান্ডেই। ফলে অনুদানের কেন্দ্রীকরণ আটকাতে সবকটি ত্রাণ তহবিলকেই CSR এর আওতায় আনা হোক। কিন্তু আদালত তৃণমূল সাংসদের সেই আর্জি মানেনি।
Comments are closed.