করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেল ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের ইংরেজি ট্যাবলয়েড মেইল টুডে। ডিজিটাল মাধ্যমে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করবে তারা। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের নামী খবরের কাগজে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন শহরের সংস্করণ। এমনকী গোটা খবরের কাগজ রাতারাতি ওয়েবে শিফট করেছে, এমন দৃষ্টান্তও আছে। এই পর্বে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাও সম্ভবত ঘটে গেল। রবিবার শেষবার ছেপে বেরোবে মেইল টুডে।
করোনার আগে থেকেই চাহিদার অভাবে ভুগছে দেশের অর্থনীতি। যার প্রভাব এসে পড়েছিল সংবাদপত্রের উপরও। তার উপর এসে পড়েছে অতিমারি। খরচের চাপ সামলাতে না পেরে যেমন বন্ধ হচ্ছে সংবাদপত্রের সংস্করণ কিংবা আস্ত সংবাদপত্রই, তেমনই তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে নিউ নর্মালে ছাপানো সংবাদপত্রের ভবিষ্যত নিয়ে। তাহলে কি সত্যিই ডিজিটালের সঙ্গে দৌড়ে তাল রাখতে পারছে না খবরের কাগজ?
মেইল টুডের কর্মীদের করা একটি মেইলে ইন্ডিয়া টুডে গোষ্ঠীর এডিটর ইন চিফ ও চেয়ারম্যান অরুণ পুরি বলেছেন, বলতে খুবই খারাপ লাগছে, আমাদের প্রিন্ট এডিশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ৯ অগাস্ট, রবিবার শেষবার তা এই রূপে প্রকাশিত হবে। ভবিষ্যতের পাঠকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মেইল টুডেকে আমরা নয়া ডিজিটাল অবতারে আনতে চলেছি।
পুরি কর্মীদের পাঠানো ইমেলে জানিয়েছেন, মেইল টুডের এডিটর দ্বৈপায়ন বোসকে Indiatoday.in এর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি এখন থেকে গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারপার্সন কল্লি পুরিকে রিপোর্ট করবেন। এছাড়া সম্পাদকীয় টিমের সদস্যদের ডিজিটাল মাধ্যমের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। বাকিরা, যাঁরা ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ ছেড়ে ভবিষ্যতের পথে যাত্রা করবেন, তাঁদের গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমাদের মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ তাঁদের সবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে থাকবে।
পুরি মেইলে আরও লিখেছেন, কোভিড পরিস্থিতি আমাদের দেখিয়েছে কীভাবে মানুষের অগ্রাধিকার বদলে যায়। কীভাবে মানুষ কাগজে ছাপা লেখা পড়ার চেয়েও মোবাইল স্ক্রিনে লেখা পড়ায় আগ্রহ প্রকাশ করছে। আগামীর পাঠকদের কথা ভেবে তাই ডিজিটাল মাধ্যমেই মনোনিবেশ করছে ইন্ডিয়া টুডে গোষ্ঠী। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে খবরের কাগজের বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে ডিজিটাল মাধ্যম।
ভারতে করোনা পর্বের একেবারে শুরুতে গুজবের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল খবরের কাগজ ছাপা। সঙ্গে সঙ্গে শূন্যস্থান দখল করে নেয় ডিজিটাল মাধ্যম। এখন ছাপা আবার শুরু হলেও গ্রাহক সংখ্যা কমেছে লক্ষ্যণীয়ভাবে। এটা কীসের ইঙ্গিত তা বুঝতে পারছেন সংবাদপত্রের কর্তারা। আর তাই ভারতের মতো দেশেও ছাপা কাগজ লড়াইয়ে ক্রমশ পিছু হঠছে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ মেইল টুডের বন্ধ হয়ে যাওয়া।
Comments are closed.