অনেক আঘাত প্রত্যাঘাত পেরিয়ে এসেছি কিন্তু মাথা ঝোঁকাইনি। যন্ত্রণা তো থাকবেই কিন্তু আজকে মানুষের পাশে না দাঁড়ালে কবে দাঁড়াব? আমি ঘরে বসে থাকলে যে চক্রান্তকারীরা উৎসাহ পেয়ে যাবে! হুইল চেয়ারেই গোটা বাংলা ঘুরে বেড়াব। হাজরার ছোট্ট কিন্তু রাজনৈতিক তাৎপর্যের বিচারে মহা গুরুত্বপূর্ণ সভায় মমতা ব্যানার্জি নিজেকে আহত বাঘের সঙ্গে তুলনা করে বললেন, ভাঙ্গা পা নিয়েই সারা বাংলা ঘুরে বেড়াব। খেলা হবে।
নিজের জখম পায়ের সম্পর্কে চিকিৎসকেরা কী বলেছেন তা জানিয়ে সবাইকে শান্ত, সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, আমার উপর ভরসা রাখুন।
এর ঠিক আগে কলকাতার রবিবাসরীয় রাজপথে তৈরি হয়েছে এক নজিরবিহীন দৃশ্য। সম্ভবত দেশেও।
হুইল চেয়ারে বসে মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্ব দিচ্ছেন জনতার মিছিলের। ভাঙ্গা পায়েই খেলা হবে স্লোগানে মুখরিত জওহরলাল নেহরু রোডের আকাশ বাতাস।
নন্দীগ্রাম দিবসের দিন গান্ধী মূর্তি থেকে হাজরা মোড়ে পর্যন্ত জনজোয়ারের এক্কেবারে সামনে হুইল চেয়ারে বসে তৃণমূল নেত্রী। চাকাওয়ালা গাড়িতে বসেই নেত্রী পাড়ি দিলেন রাজপথে।
বেরনোর ঠিক আগে মমতার ট্যুইট, আগ্রাসী লড়াই চলবে। আমার ব্যথা ছাপিয়ে মানুষের ব্যথা অনুভব করছি। মাতৃভূমি রক্ষার স্বার্থে অনেক ক্ষতি স্বীকার করেছি, আরও করব, কিন্তু মাথা ঝোঁকাবো না।
We will continue to fight boldly!
I'm still in a lot of pain, but I feel the pain of my people even more.
In this fight to protect our revered land, we have suffered a lot and will suffer more but we will NEVER bow down to COWARDICE!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 14, 2021
এদিনের মিছিলের প্রাণ ভোমরা ছিলেন মমতা ব্যানার্জি। হুইল চেয়ারে মমতা। ঠেলছেন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। এক পাশে অভিষেক ব্যানার্জি। অন্যপাশে ফিরহাদ, অরূপ, মদন মিত্ররা। পিছনে বিশাল জনস্রোত। আর পাঁচটা মমতার পদযাত্রার সঙ্গে রবিবাসরীয় দুপুরের র্যালি আলাদা একটি জায়গায়, মিছিলের গতি। যত সময় গিয়েছে মমতাকে এক ঝলক দেখতে ফুটপাথে ভিড় বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বহর বেড়েছে পদযাত্রার। এদিন ভাষণের জন্য সময় কম থাকায় মমতা ক্ষমা চেয়ে নেন শুরুতেই। বলেন এখুনি দুর্গাপুর চলে যাবেন। কাল থেকে জোড়া সভা।
Comments are closed.