মমতা-শুভেন্দু: প্রথমার্ধে মুখোমুখি সাক্ষাৎ, দ্বিতীয়ার্ধে ফের একে অপরকে কটাক্ষ; শুক্রবার চমক দিল বিধানসভা
শুক্রবার রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত চমক দেখাল বিধানসভা। সংবিধান দিবস পালন এবং তাকে ঘিরে রীতিমতো একের পর এক চমকপ্রদ ঘটনা ঘটল বিধানসভায়। প্রথম চমক, বিধানসভা ভোটের পর এই প্রথম শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের ঘরে আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতাও মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আরও তিন বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান। যা নিয়ে ততক্ষণে হৈচৈ শুরু হয়ে গিয়েছে। দু’পক্ষের কী কথা হয়েছে তা জানতে উদগ্রীব তখন সব পক্ষ। যদিও বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বলেন এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। সেই সঙ্গে পরে সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতার ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য, সৌজন্য বিনিময় হয়েছে, এর মধ্যে অন্য কিছু নেই।
এরপর দ্বিতীয় চমক, বিধানসভা স্মারক ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও বিরোধী দলেনতাকে দেখতে না পেয়ে মার্শাল পাঠিয়ে তাঁকে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও শুভেন্দু অধিকারী সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেননি। পাল্টা তিনি দাবি করেন, ওই অনুষ্ঠানে যে আমন্ত্রণ পত্র তৈরি করা হয়েছিল, তাতে বিরোধী দলনেতার নাম ছিল না। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে পাল্টা বলেন, বিরোধী দলনেতা উপস্থিত থাকলে ভালো লাগতো। একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারেন।
এদিকে অধিবেশন শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক ইস্যুতে নিশানা করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নিয়ে শাসকদল বিরোধীদের সঙ্গে বিমাতৃ সুলভ আচরণ করছে। এছাড়াও রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও তাঁর বসার জায়গা নির্বাচন নিয়েও এদিন রাজ্যকে একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতাকে তাঁর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রথমে সৌজন্য এবং পরে ফের একবার একে অপরের বাক বিতণ্ডায় এদিন কার্যত সরগরম ছিল বিধানসভা। তবে প্রায় দেড় বছর পর তাঁর এক সময়ের সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীকে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ এক কথায় চমক ছিল, যা নিয়ে এখনও সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
Comments are closed.