কমিশন থেকে প্রশাসনকে বিঁধে বীরভূমে কর্মিসভা সারলেন তৃণমূল নেত্রী। সুদীপ জৈন, বিবেক দুবে এবং এসপি-ডিএমদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট বলে দাবি করে কিছু কাগজ তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, প্রিভেন্টিভ ডিটেনশনের নামে ভোটের আগে তৃণমূলের কর্মীদের গ্রেফতার করছে কমিশন। বিজেপির কথা শুনেই এটা করছে ওরা, অভিযোগ মমতার।
ওই কাগজের সূত্রে মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমি সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে যাবো। ভোটকে নিরপেক্ষ করতে যা যা করার তাই করব। বিজেপি ওই দুটো লোক নিজের ইচ্ছে মতো যা খুশি করছে, অভিযোগ মমতার। সেই সঙ্গে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম করে বলেন, আমি জানি না বীরভূমকে কেন ওরা এত অপছন্দ করে। কেষ্টর উপর বহুত রাগ! ওকে প্রতিবার ভোটের সময় নজরবন্দি করে। কেন এটা করবে? প্রশ্ন মমতার। তারপরই কেষ্টকে নেত্রীর নির্দেশ, এবার যদি এরকম করতে আসে তুমি কোর্টে যাবে। কেষ্ট বলেন আচ্ছা দিদি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে মমতা মোদী সরকারের দিকে তুমুল আক্রমণ করে বলেন, এইবার হয়েছে আত্মনির্ভর ভারত। ওষুধ নেই, টিকা নেই, অক্সিজেন নেই, হাসপাতালে বেড নেই। সরকার হাত তুলে নিয়ে বলে দিল তুমি নিজে নিজে কর, আত্মনির্ভর হও! তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্ন, এটা হতে পারে আত্মনির্ভর প্রধানমন্ত্রী? এভাবে সরকার চলে?
মমতার আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি কমিশনও। তিনি বলেন, কমিশনেরই বা এত জেদ কীসের? ৫০০ জনকে নিয়ে মিটিং করতে হবে বলে দিল। আমাদের মতো নেতার মিটিংয়ে এভাবে লোক আটকানো যায়? মমতার কটাক্ষ, কেন প্রাইম মিনিস্টারের মিটিং নেই বলে?নাকি অমিত শাহের সভায় লোক নেই তাই? কমিশনকে বিঁধে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ভোট করবেন আবার জোর করে প্রচারও বন্ধ করবেন। তাও আপনাকে ৮ দফাতেই ভোট করতে হবে। এত জেদ কীসের যেখানে মানুষ মরে যাচ্ছে?
Comments are closed.