প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে ৩ ঘণ্টা বসে কেবল শুনেছি। বলার কোনও সুযোগ ছিল না। বলার সুযোগ পেলে জানাতাম রাজ্যের পরিস্থিতি, জিজ্ঞেস করতাম কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর যৌক্তিকতা। নবান্ন থেকে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাফ জানিয়েছেন, লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই মেনে চলবে রাজ্য। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যেন রাজনীতি করার চেষ্টা না হয়।
এদিনই মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫০৪। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। মুখ্যসচিব রাজীবা সিনহা পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, করোনা মোকাবিলায় যে কোনও মাপকাঠিতেই বাংলা জাতীয় গড়ের আশেপাশে রয়েছে। ঘন জনবসতি পূর্ণ রাজ্য হিসেবে যা যথেষ্টই আশাব্যঞ্জক। রাজীবা সিনহা বলেন, কলকাতায় মোট ২২৭ টি কনটেইনমেন্ট এলাকার মধ্যে ১৮ টি থেকে গত ২ সপ্তাহে নতুন সংক্রমণের খবর নেই। তেমনই হাওড়ায় ৫৬ টির মধ্যে ১৩ টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৭ টির মধ্যে ১৩ টি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৮ টির মধ্যে ৫ টি কনটেইনমেন্ট এরিয়া থেকে গত ১৪ দিন নতুন সংক্রমণের কোনও খবর নেই। রাজ্যের ৮ টি জেলা সম্পূর্ণভাবে করোনামুক্ত। জলপাইগুড়ি ও কালিম্পংয়েও নতুন সংক্রমণের খবর নেই। স্ক্রিনিংয়ের জন্য রাজ্যের প্রায় প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেও দাবি মুখ্যসচিবের।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র একবার সার্কুলার পাঠিয়ে বলছে লকডাউন আরও কড়া করতে হবে, আবার তারপরই বলছে দোকানপাট খুলে দিন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, দোকান খুলে দিলে মানুষকে কীভাবে তিনি ঘরে থাকতে বাধ্য করবেন? এতে রাস্তায় ভিড় বাড়বে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। সর্বোপরি ব্যর্থ হবে লকডাউন। তাই কেন্দ্র ঠিক কী চাইছে, তা স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। এ বিষয়ে কেন্দ্রের নির্দেশের জন্য মঙ্গলবার অবধি অপেক্ষা করবে রাজ্য বলেও জানান মমতা। বুধবার এ বিষয়ে রাজ্যের মত জানিয়ে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ক্ল্যারিটি চেয়ে রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Comments are closed.