একসময় পেশা ছিল রিকশা চালানো। তারপর গঙ্গা-তিস্তা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। বদলেছে পেশাও। কিন্তু রিকশাকে তিনি ভোলেননি। তিনি মনোরঞ্জন ব্যাপারী। হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর হয়ে প্রচার করতে এদিন হুগলিতে এসেছিলেন দলনেত্রী। মনোরঞ্জনের রিকশা চালানোর কথা শুনে খুশি মমতা বললেন, আমি নিজেও রিকশা চালাতে পছন্দ করি।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে এবার প্রার্থী করেছেন মমতা ব্যানার্জি। সেই মনোরঞ্জনের হয়ে প্রচার করে গেলেন নেত্রী। জানিয়ে দিলেন, তিনিও ভালই পারেন রিকশা চালাতে।
শোনা যায় মনোরঞ্জন ব্যাপারী যখন রিকশা টেনে পেট চালাতেন সেই সময় একদিন তাঁর রিকশায় ওঠেন মহাশ্বেতা দেবী। তারপরই ক্রমশ জীবনে বদল আসে দলিত লেখকের। মহাশ্বেতা দেবীর মৃত্যু হয়েছে। রিকশা এখন আর মনোরঞ্জনের জীবিকা নয়। তা বলে রিকশাকে ভুলতে পারেননি মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
নিজের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকা রিকশা চালিয়েই মনোনয়ন দিতে গিয়েছিলেন দলিত সাহিত্যিক। বৃহস্পতিবার সেই কথা মনে করান মমতা। জিজ্ঞেস করেন, আমি শুনেছি মনোরঞ্জন ব্যাপারী রিকশা চালিয়ে মনোনয়ন দিতে গেছিলেন। এটা কি সত্যি? মঞ্চে উপস্থিত নেতারা তৃণমূল নেত্রীকে জানান, খবর সত্যি। তারপর মমতা বলেন, খুব ভালো। আমি নিজেও রিকশা চালাতে পছন্দ করি!
প্রার্থীকে নিয়ে মমতা বলেন, উনি রান্নার কাজ করতেন। আমাকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, অন্য কাজ করতে চান। আমি ওনাকে লাইব্রেরিতে কাজ ঠিক করে দিই। মমতার কথায়, যার যেটা কাজ, তাঁকে সেটাই করতে দিতে হবে। এখন মনোরঞ্জনবাবু বাংলার দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান। ভোট মিটলে এখানেই একটা অফিস করে দেব। যাতে বলাগড়ে বসেই উনি দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমি চালাতে পারেন। মমতা মনে করিয়ে দেন, গোটা দেশে এমন অ্যাকাডেমি রয়েছে একমাত্র বাংলাতেই।
Comments are closed.