কেন্দ্রের ভ্যাকসিন বণ্টন নীতি ফাঁপা ও অন্তঃসারশূন্য! মোদীকে পত্রাঘাত মমতার

মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, সোমবার কেন্দ্রের খোলা বাজারে ভ্যাকসিন বিক্রির সিদ্ধান্তের ফলে কালোবাজারি বেড়ে যাবে এবং যার ফলে অতিরিক্ত দামের জন্য দুর্ভোগের পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে। 

মঙ্গলবার ভ্যাকিসন বণ্টন নিয়ে ফের একবার মমতার কড়া চিঠি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এদিন জনসভা থেকেই করোনা টিকা নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এবার প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি চিঠি লিখলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে মমতা লেখেন, আমি জেনেছি যে কেন্দ্রীয় সরকার ১৯ এপ্রিল ‘ইউনিভার্সাল’ বা সর্বজনীন টিকাকরণ নীতি ঘোষণা করেছে। মমতার তোপ, এরকম এক ভয়াবহ সময় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত একটি ফাঁপা, অন্তঃসারশূন্য এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

পুরোনো চিঠির কথা মনে করিয়ে মমতা ব্যানার্জি লেখেন, আপনার যদি আমার ২৪ ফেব্র্রুয়ারি ২০২১ এর চিঠির কথা মনে থাকে, সেখানে আমি লিখেছিলাম রাজ্যগুলোকে যেন সরাসরি ভ্যাকসিন কেনার অনুমতি দেওয়া হয়। আমরা রাজ্যের টাকায় ভ্যাকসিন কিনে সাধারণ মানুষকে বিনা পয়সায় তা দিতে পারতাম।

সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও লেখেন, সোমবার কেন্দ্রের খোলা বাজারে ভ্যাকসিন বিক্রির সিদ্ধান্তের ফলে কালোবাজারি বেড়ে যাবে এবং যার ফলে অতিরিক্ত দামের জন্য দুর্ভোগের পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে।

মুখ্যমন্ত্রীর সেই চিঠি- 

এই অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি ভ্যাকসিন সরবারহ করবে, যোগান অনুযারী পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ করার পরিকাঠামো আছে কিনা সে বিষয়েও কোনও পরিষ্কার ঘোষণা কেন্দ্র করেনি বলে অভিযোগ মমতার।

চিঠির শেষ অংশে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমার অনুরোধ কেন্দ্র যাতে একটি স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য টিকাকরণ নীতি ঘোষণা করে, যার ফলে যত দ্রুত সম্ভব এই কঠিন সময়ে দেশের মানুষ ভ্যাকসিন দেওয়া যায়।

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পাশাপাশি এদিন রাজ্যের টিকাকরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটি ট্যুইটও করেন। মঙ্গলবার তিনি লেখেন, আমাদের অবিরাম পরিশ্রমে রাজ্যে টিকাকরণ বেড়েছে।
মমতা জানান, কলকাতায় গড়ে দৈনিক ২৫ হাজার টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু সোমবার শহরে টিকাকরণ হয়েছে ৩৯ হাজার।
তিনি ট্যুইটে আরও লেখেন, পশ্চিবঙ্গ সরকার ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে টিকাকরণের পরিমান বাড়াতে, যাতে সমস্ত রাজ্যবাসী ভ্যাকসিন পান।

সোমবারই কেন্দ্র জানায় ১ মে থেকে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের সকল ভারতীয়কে টিকা দেওয়া হবে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৫০% টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি খোলা বাজারে বিক্রি করতে পারবে। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলিও সরাসরি প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে টি

Comments are closed.