সুখবর! করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন অক্সফোর্ডের গবেষকদের, ৫০০ মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ

করোনা ভাইরাসের দাপটে কাঁপছে সারা বিশ্বের মানুষ। প্রতিষেধকের খোঁজে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তাবড় গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। এই প্রেক্ষিতে কিছুটা স্বস্তির খবর দিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। করোনা মোকাবিলায় তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে মানব দেহে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বলে খবর।
শুক্রবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাদের গবেষকরা কোভিড-১৯ ভাইরাস ঠেকাতে এক অভূতপূর্ব ভ্যাকসিন উন্নতিকরণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবীদের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে তা প্রয়োগের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে।
প্রথম দফায় মানব দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রস্তুতি নিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁদের এই chADOx1 nCoV-19 ভ্যাকসিন প্রথম প্রয়োগ করা হচ্ছে ইংল্যান্ডের থেমস উপত্যকার বাসিন্দাদের উপর। অ্যাডেনোভাইরাস ভ্যাকসিন ভেক্টর এবং SARS-CoV-2 স্পাইক প্রোটিনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া এই ভ্যাকসিনের উন্নতিকরণে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই বিষয়ে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, chAdOx1 nCoV-19 নামক এই ভ্যাকসিন রকি মাউন্টেন ল্যাবরেটরিজ (NIH/NIAID) এবং অস্ট্রেলিয়ার সায়েন্স এজেন্সি CSIRO- এর ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক এস এস ভাসানের নেতৃত্বে যৌথভাবে প্রস্তুত হচ্ছে। ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ভাসান জানান, যে ভাইরাসের আক্রমণে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, সেই সার্স কোভ-২- এর জন্য তাঁদের এই গবেষণার উন্নতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবীদের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে এই ভ্যাকসিন কাজ করলে তা এই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশেষ উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হবে। সেই দিকেই তাকিয়ে গবেষক থেকে প্যান্ডেমিকের ভয়ে বাড়িতে বন্দি থাকা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ মানুষ।

 

Comments are closed.