বৃহস্পতিবার যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন সিএএ, এনআরসির কুফল নিয়ে পালা বাঁধতে। এবার সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় নিজেই গান লিখে ফেললেন মমতা ব্যানার্জি। ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে নাগরিক সবাই নামে সেই গান। গানের সুর দিয়েছেন মমতা নিজে, গেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই চলছে শেয়ার, লাইকের পালা।
নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় দেশে প্রথম সারিতে মমতা ব্যানার্জি। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিপুল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পদযাত্রা করছেন তিনি। কখনও শিলিগুড়ি আবার কখনও পুরুলিয়া, হাওড়া, কলকাতা, পথ হাঁটায় বিরাম নেই মমতার। সেই সঙ্গে একেবারে শুরু থেকেই সিএএ-এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথে গিয়েছেন তিনি। আর এ কাজে মমতা সমর্থন পেয়েছেন বাংলার সংস্কৃতি জগতের। এবার সেই বিরোধিতাকেই মমতা বাঁধলেন সুরের বাঁধনে।
শুধু বিরোধিতা করেই অবশ্য থামেননি মমতা। গানের ছত্রে ছত্রে তুলে ধরেছেন ভারতের চিরন্তন ঐতিহ্যের কথা, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ভারতীয় সংস্কৃতির কথা। আমার দেশ ঐক্যবদ্ধ ভারত, আমার ভূমি ঐক্যবদ্ধ বঙ্গভূমি… শীর্ষক গানে মমতা নাম না করে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন মোদী-অমিত শাহের দিকেও। বলেছেন, তোমরা যাঁরা ঘৃণা ছড়াও, তারাই শুধু কাঁদবে।
গত রবিবার মমতা ব্যানার্জি গর্জে ওঠো নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন। যেখানে তাঁর প্রশ্ন ছিল, সকালবেলায় রাত্রি ঘনায় কোন নিশানার তরে, ঘৃণ্যশক্তি পাখা মেলছে মানবিকতার দ্বারে। ঠিক সেভাবেই নিজের লেখা গানেও মমতা তুলে ধরেছেন দেশের ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতির কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বন্দুক, গুলি, আগুনে নয়, প্রতিবাদ হোক গানে-কবিতায়। এভাবেই গানের কথা ও সুরে নিজের প্রতিবাদের ভাষা ব্যক্ত করেছেন মমতা ব্যানার্জি। কারণ তিনি মনে করেন, দেশ যখন অন্ধকারে ডুবে যায়, মানুষের শিল্পী মনই খুঁজে দেয় আন্দোলনের ভাষা।
Comments are closed.