ধরনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ মোদীর, ‘ম্যাডিবাবু’র মতো দুর্নীতিগ্রস্ত দেশে জন্মায়নি, পালটা আক্রমণ মমতার

যতই ধরনা করুন, দুর্নীতিগ্রস্তদের বাঁচাতে পারবেন না, জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির সভা থেকে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীকে ‘ম্যাডি বাবু’ বলে সম্বোধন করে মমতার পালটা হুঁশিয়ারি, তাঁর মতো দুর্নীতিগ্রস্ত দেশে আগে জন্মায়নি। ভোটের আগে নিজেকে বলে চাওয়ালা, পরে হয়ে যায় রাফালওয়ালা।
এক কথায় বলা যাতে পারে, সিবিআই ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্য-কেন্দ্রের নজিরবিহীন সংঘাতের মধ্যে এইবার সরাসরি মোদী-মমতা যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল।
এদিন ময়নাগুড়ির সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি নিয়ে গর্ববোধ হোত। এখন সেখানে হিংসা ঢুকেছে। বাংলার মাটির বদনাম করছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের আমলে কোনও উন্নয়ন হয়নি বলে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মমতা পাল্টা বলেন, রাফাল দুর্নীতি করা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কথা বলতে তাঁর লজ্জা করে। উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বলেন, হয় প্রধানমন্ত্রী চোখে দেখেন না, না হলে কানে শোনেন না। উত্তরবঙ্গের সামগ্রিক উন্নতির জন্য বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এসেছেন তাঁরা বলে দাবি মমতার।
এদিন বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের শেষে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে তীব্র আক্রমণ করেন মোদীকে। বলেন, দেশের ২৩-২৪ টা দল এক হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এক্সপেয়ারি ডেট পেরিয়ে গিয়েছে। বিরোধী জোট দেখে ভয় গিয়েছেন তিনি। চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তাই যা খুশি করে বেড়াচ্ছে। এদিন ময়নাগুড়ির সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীর জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন করারও সমালোচনা করেন মমতা। বলেন, সার্কিট বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের অধীনে। তার জন্য সব খরচ, পরিকাঠামো গঠন করেছে রাজ্য। অথচ, রাজ্যকে না জানিয়েই তা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর জন্য সুপ্রিম কোর্টকে রাজ্য চিঠি দেবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Comments are closed.