SSR মৃত্যু রহস্য: তারকাদের ডিলিট করা চ্যাট পুনরুদ্ধার করে রাতারাতি বিখ্যাত মাক্রান্ত ওয়াগ, জানেন কে তিনি?
আমরা এমন একটি সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যেখানে তথ্যই আমাদের প্রধান শত্রু হয়ে উঠতে পারে
মাক্রান্ত ওয়াগ, মুম্বাই পুলিশের প্রাক্তন অফিসার বর্তমানে একজন সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ। মাক্রান্ত ও তাঁর সংস্থা সুশান্ত সিংহ রাজপুত মৃত্যু রহস্যে একাধিক বলিউড তারকার ডিলিট করে দেওয়া চ্যাট পুনরুদ্ধার করে শিরোনামে আসেন। ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মত হাই প্রোফাইল কেসেও মুম্বাই পুলিশের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চে কাজ করেছেন তিনি।
২০১৭ সালে মাক্রান্ত পুলিশের চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নেন। ২০২০ এর ফেব্রুয়ারি মাসে ম্যাকেন্স ইনফোটেক্ নামে একটি কোম্পানি খোলেন। সুশান্ত মৃত্যু রহস্যের তদন্তে নেমে তদন্তকারী সংস্থাগুলো ডিজিটাল এভিডেন্স উদ্ধারের দায়িত্ব দেয় ম্যাকেন্স ইনফোটেককে।
মাক্রান্ত, রিয়া চক্রবর্তীর একাধিক পুরনো হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পুনরুদ্ধার করেন যা থেকে তদন্তকারীরা অভিনেতার মৃত্যু রহস্যে মাদক যোগের প্রমাণ পান।
মাক্রান্তের উদ্ধার করা পুরোনো চ্যাটের ওপর ভিত্তি করেই এনসিবি দীপিকা পাডুকোন, সারা আলি খান, অর্জুন রামপালের মত বলিউডের একাধিক প্রথম সারির অভিনেতাকে মাদক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। এই মামলায় ২০০৫ সালের পুরোনো চ্যাটও দক্ষতার সঙ্গে মাক্রান্ত ও তার টিম উদ্ধার করেছিল। যার জেরে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক অন্ধকার দিক প্রকাশ্যে উঠে আসে। একটি ইন্টারভিউতে মাক্রান্ত জানান বর্তমানে চিরাচরিত তদন্ত প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ডিজিটাল দিকটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, আমরা এমন একটি সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যেখানে তথ্যই আমাদের প্রধান শত্রু হয়ে উঠতে পারে।
এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে জানান তদন্ত ডিজিটাল ফরেন্সিক অ্যানালিসিসের ক্ষেত্রে মাক্রান্তের সংস্থা তাদের অসাধারণ সহযোগিতা করেছে।
সম্প্রতি পেরিয়ে গেল সুশান্ত সিংহ রাজপুতের জন্মদিন। ২০২০ এর ১৪ই তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় গোটা দেশ। আত্মহত্যা নাকি খুন তাই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। তদন্তে উঠে এসেছিলো মায়ানগরীর কালো দিক। অভিনেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কার্যত দুটি পক্ষে ভাগ হয়ে গিয়েছিল সংবাদমাধ্যমগুলি। প্রয়াত অভিনেতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী এবং তার ভাইকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এমনকি এই মৃত্যু রহস্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের নামও জড়িয়েছিল। বর্তমানে রিয়া এবং তার ভাই জামিনে মুক্ত।
Comments are closed.