মণিপুরে পতনের মুখে বিজেপি সরকার। রাজ্যপাল নাজমা হাপতুল্লার কাছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে আস্থা ভোটের দাবি জানাতে তৈরি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা ওকরাম ইবোবি সিংহ। তাহলে মণিপুরে কি এবার কংগ্রেস সরকার?
কিন্তু কী এমন হল যে, ৩ বছরের সরকার মেয়াদ পূরণের আগেই ভেঙে পড়ার দশা? মণিপুরে বিজেপির প্রধান জোটসঙ্গী ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (NPP) সমর্থন প্রত্যাহার করে কংগ্রেসকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা করেছে। NPP র ৪ বিধায়কই ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। মণিপুরের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ওয়াই জয়কুমার সিংহ। মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন বাকি ৩ NPP বিধায়কও। এর আগে ৩ বিজেপি বিধায়ক পদত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দেন। এছাড়া এক তৃণমূল বিধায়ক ও জিরিবাম থেকে জেতা নির্দল বিধায়কও সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে আস্থা ভোটের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছে কংগ্রেস।
২০১৭ সালের ভোটে মণিপুরের ৬০ আসনের মধ্যে একাই ২৮ আসন জেতে কংগ্রেস। বিজেপি থামে ২১ টিতে। কিন্তু অন্যান্যদের সমর্থন জোগাড় করে এবং কংগ্রেসের ৮ বিধায়ককে ভাঙিয়ে ইম্ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজেপির বীরেন সিংহ। ৩ বছরের মধ্যেই হিসেব গেল পাল্টে। কংগ্রেসের দাবি, এই মুহূর্তে তাদের হাতে রয়েছে ২৬ জনের সমর্থন। বিজেপি থেকে আরও কয়েকজনের আসার কথাও জানিয়েছেন ওকরাম ইবোবি সিংহ।
কংগ্রেসের যে ৮ বিধায়ক বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের একজনের সদস্যপদ খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট, বাকিদেরও খারিজ হওয়ার পথে। মণিপুর বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ২৭। ফলে মণিপুরে বিজেপির সরে যাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস কি সরকার গড়তে পারবে, নাকি জারি হবে রাষ্ট্রপতি শাসন? এখন সেটাই দেখার।
Comments are closed.