সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের ছেলে রাসেল আজিজের বিরুদ্ধে সিআইডির করা মামলা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। পঞ্চায়েত ভোটের দিন দুপুরে উত্তর দিনাজপুরে এক প্রিসাইডিং অফিসার খুন হয়েছেন বলে রাসেল তাঁর ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছিলেন। এরপরেই বিভ্রান্তিমূলক খবর ছড়ানোর অভিযোগে রাসেল আজিজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিআইডি। সোমবার ভবানীভবনে রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন সিআইডি গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন মহম্মদ সেলিম।
রাসেল আজিজ
প্রশ্নঃ আপনার ছেলে রাসেলের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিআইডি। আপনার প্রতিক্রিয়া…
মহম্মদ সেলিমঃ এই সরকার গঠনের পর থেকেই আমার পরিবারকে টার্গেট করেছে। রাজ্যের মানুষ সেটা জানেন। কিন্তু কিচ্ছু করতে পারেনি। এবার আমার ছেলেকে টার্গেট করেছে। রাসেল আমার ল্যাপটপ থেকে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ওই পোস্ট করেছিল, যা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। যদি ওদের সাহস থাকে আমাকে ডেকে জেরা করুক সিআইডি।
প্রশ্নঃ আপনি কি বলতে চাইছেন, রাসেল নয়, আপনিই টার্গেট?
মহম্মদ সেলিমঃ অবশ্যই। সামনের বছর লোকসভা ভোট। আমি সাংসদ। রায়গঞ্জ লোকসভা সিট হচ্ছে আসল টার্গেট। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ওখানে প্রিসাইডিং অফিসার খুন হয়েছিলেন। সবাই তা জানে। এই ঘটনা নিয়ে শুধু ওই জেলায় নয়, গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু রায়গঞ্জে যাঁরা প্রতিবাদ করেছেন, গত দু’দিন ধরেই তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে। মিথ্যে কেস দেওয়া হচ্ছে। সেই জন্যই আমি বলছি, সাধারণ মানুষকে যেখানে হেনস্থা করা হচ্ছে সরকারের বিরোধিতা করার জন্য, সেখানে রাসেলকে তো শুধু সমন করা হয়েছে। আমরা এতে ভীত নই। আমি এখনও বলছি, সরকারের সাহস থাকলে সিআইডি আমাকে ডাকুক। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত আছি।
প্রশ্নঃ কিন্তু প্রশাসনের অভিযোগ, ভোটের দিনের ওই ফেসবুক পোস্টের জন্য উত্তর দিনাজপুরে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। দরকারে এই মামলায় রাসেলকে ফের ডাকা হবে।
মহম্মদ সেলিমঃ দেখুন সরকারে উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিরোধী কন্ঠস্বরকে ভয় দেখানো, যাতে সবাই আত্মসমর্পণ করে। আমি ভয়ও পাচ্ছি না, আত্মসমর্পণও করছি না। দরকার হলে এই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লড়াই চলবে।