ছোটেন কম হাঁটেন বেশি! এতেই নাকি মাঠে ম্যাজিক করেন মেসি; কিন্তু কীভাবে? রহস্য ফাঁস করলেন লিও’র প্রক্তন ম্যানেজার
ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে আর্জেন্টিনা। বিধ্বংসী ছন্দে রয়েছেন লিওনেল মেসি সহ গোটা নীল সাদা ব্রিগেড। বিশেষ করে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড আলভারেজের দ্বিতীয় গোল। এবং অব্যশই এই বিশ্বকাপে সব থেকে চর্চিত ডিফেন্ডার ক্রোয়েশিয়ার জস্কো গভার্দিওলকে কার্যত নাস্তানাবুদ করে মেসির পাস এবং সেখান থেকে আলভারেজের গোল। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ আর মেসিদের মাঝে আর একটিই ম্যাচ। প্রতিপক্ষে মরক্কো না ফ্রান্স তা বুধবার মাঝরাতেই ঠিক হয়ে যাবে। ফুটবল বিশ্ব যখন কার্যত মেসি ম্যাজিক মুগ্ধ তখন এলএম-১০কে নিয়ে বিবিসি স্পোর্টস একটি চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে।
এই বিশ্বকাপে মেসির খেলা যাঁরা ধারাবাহিকভাবে দেখছেন তাঁরা নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন খেলার মাঝে অনেক সময়ই মেসি মাঠে হাঁটছেন। নিজের দল বিপক্ষের খেলোয়াড়রা যখন দৌড়ে প্রাণপ্রাত করেছেন, তিনি নির্বিকার চিত্তে হেঁটেই চলছেন। একটি পরিসংখ্যান বলছে, এবারে বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচে মেসি গড়ে ৫ কিমি করে হেঁটেছেন। কিন্তু না দৌড়ে হাঁটছেনই বা কেন?
বিবিসি স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেসির হাঁটার রহস্য ফাঁস করেছেন তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিলো। তিনি ২০০৮ থেকে ১২ পর্যন্ত কার্যত মেসির সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, মেসির হাঁটা দেখে অনেকের মনে হতে পারে ওঁর খেলার প্রতি মনযোগ থাকে না অনেক সময়। কিন্তু তেমনটা একদমই নয়। মেসি পুরো ৯০ মিনিটই কার্যত ম্যাচে ডুবে থাকেন। লিও মাঠে নামার পর থেকেই প্রথমে বেশিরভাগ সময়টা হাঁটেন আর ক্রমাগত মাথাটা বাঁ থেকে ডান, ডান থেকে বাঁ দিকে ঘোরাতে থাকেন। আসলে ওই সময়টা ও বিপক্ষের রক্ষণভাগকে স্ক্যান করে। ওই সময় ও বোঝার চেষ্টা করে রক্ষণভাগের কোন দিকটা দুর্বল। খেলার ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই ও মাথায় একটি ম্যাপ বানিয়ে নেয়। ওই হাঁটার মধ্যেই ও স্পষ্ট ধারণা তৈরি করে নেয় কোন দিকে দিয়ে এগোলে কী হতে পারে, কোন পথে ও বিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারবে। আর সে কারণেই মেসির হাঁটাও ওঁর খেলারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
Comments are closed.