ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া ১১ বছরের সুশ্রী সঙ্গীতা শেঠি। বাবার বিরুদ্ধে নালিশ করতে পায়ে হেঁটে ১০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে জেলাশাসকের অফিসে পৌঁছে গেল সে।
ওড়িশার কেন্দাপাড়ার ক্লাস সিক্সের পড়ুয়ার অভিযোগ, সরকারের দেওয়া মিড ডে মিলের চাল ও টাকা আত্মসাত্ করে নেয় বাবা। কেন্দাপাড়ার কালেক্টর সমর্থ বর্মার কাছে বাবার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে সুশ্রী।
অভিযোগপত্রে সে জানিয়েছে, বছর দুই আগে মা মারা যাওয়ার পর বাবা আবার বিয়ে করেন। কিন্তু সৎ মা তাঁকে সহ্য করতে পারে না বলে মামা বাড়িতে থাকতে শুরু করে সে। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে পড়ুয়া পিছু দৈনিক ৮ টাকা ব্যাঙ্কে ট্রান্সফার করার ব্যবস্থা করেছে সরকার। যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, তাদের অভিভাবকরা অর্থ সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি মিড ডে মিলে দৈনিক ছাত্রপিছু ১৫০ গ্রাম করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
ওই কিশোরীর অভিযোগ, তাঁর নিজের অ্যাকাউন্ট থাকা সত্ত্বেও বাবার অ্যাকাউন্টেই সেই টাকা জমা পড়ছে। তার নামের চালও বাবা নিজেই স্কুল থেকে সংগ্রহ করে নিচ্ছেন কিন্তু কিছুই তাঁর হাতে আসছে না বলে নালিশ সুশ্রীর। ১১ বছরের সুশ্রীর নালিশের পরই ব্যবস্থা নেন কালেক্টর। সুশ্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এতদিন ধরে যে টাকা ও চাল তাঁর বাবা আত্মসাত্ করেছে, তাও ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন কালেক্টর। কেন্দাপাড়ার জেলা শিক্ষা আধিকারিক সঞ্জীব সিংহ বলেন, কালেক্টরের নির্দেশ অনুযায়ী, এবার সরাসরি সুশ্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই টাকা দেবো। স্কুলের প্রধান শিক্ষককেও বলেছি, যাতে শুধু মেয়েটির হাতেই তার বরাদ্দের চাল তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি একরত্তি মেয়ের সৎসাহসের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
Comments are closed.