টাটা গোষ্ঠীকে বাংলায় স্বাগত, ওদের সঙ্গে কোনও লড়াই ছিল না। এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির।
৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতন এবং তৃণমূলের সরকার গঠন, এই সন্ধিক্ষণে এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে টাটা গোষ্ঠীর নাম। সিঙ্গুরে ন্যানো ফ্যাক্টরির জন্য কারখানা তৈরির কাজও এগিয়েছিল অনেকটা। মাঝপথেই তা ছেড়ে গুজরাটে চলে যায় টাটা।
তৎকালীন বাম সরকার সিঙ্গুরে বেআইনিভাবে জমি দখল করে টাটা গোষ্ঠীকে দিয়েছে কারখানা তৈরির জন্য, জমি মলিকদেরই একটি বড় অংশ এই অভিযোগ তোলেন। জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। অবশেষে পিছু হঠতে বাধ্য হয় সরকার। নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুর আন্দোলনে ভর করেই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল।
মাঝে কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। বিরোধীদের অভিযোগ মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যে বড় কোনও বিনিয়োগ হয়নি। শিল্পের ইস্যুতে একাধিকবার বিরোধীরা তৃণমূলকে বিঁধেছে।
সংবাদ সংস্থাকে পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদের কোনও লড়াই ছিল না, আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম বামেদের জোর করে জমি অধিগ্রহণ নীতির। তারপরেই জানান, ওঁরা বিশ্বের তাবড় শিল্পগোষ্ঠীগুলির মধ্য অন্যতম। রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য টাটা গোষ্ঠীকে সবসময় স্বাগত জানাই।
তৃতীয়বারের জন্য রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা ব্যানার্জি। পর্যবেক্ষকদের মতে টাটাকে নিয়ে শিল্পমন্ত্রীর করা মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শিল্প আনতে যে সরকার মরিয়া তা একপ্রকার স্পষ্ট।
Comments are closed.