ভোটের মুখে এবার বেসুরো তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত দাস। ক’দিন আগে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরে অমিত শাহের সভায় প্রথমে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়, পরে শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে সভায় প্রবেশের অনুমতি মেলে।
শুক্রবার বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত দাস। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্বজিত বলেন, দলকে ব্ল্যাকমেল করে শান্তনু ঠাকুর অনেক কিছু করেছেন। তাঁর আরও অভিযোগ নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মতুয়াদের ব্যবহার করছেন শান্তনু ঠাকুর। এমনকী সাংবাদিকদের প্রশ্নে উড়িয়ে দিলেন না তৃণমূলে ফেরার জল্পনাও। বললেন, আমার অবস্থান ভবিষ্যতে জানাব।
বিশ্বজিতের অভিযোগ, মতুয়াদের কার্ডের নাম করে শান্তনু অনেক কিছু করেছেন। তৃণমূলের অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর কাছেও খবর আছে, শান্তুনু ঠাকুর মতুয়াদের কার্ড দেওয়ার নাম করে প্রচুর টাকা তুলেছেন।
[আরও পড়ুন- ঠাকুরনগরে শাহের সভায় ঢুকতে বাধা বিশ্বজিতকে, মমতা-সাক্ষাতের জের? তুঙ্গে জল্পনা]
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য কৌশলী উত্তর দিয়েছেন। তাঁর দাবি অনেকেই এরকম ক্ষোভ চেপে বসে আছেন। এক এক করে সব বেরোচ্ছে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিশ্বজিত দাস কি তৃণমূলে ফিরছেন? জ্যোতিপ্রিয়র উত্তর, সময় হলেই জানতে পারবেন।
সূত্রের খবর, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া একাধিক নেতা অভিযোগ করছেন নতুন দলে তাঁরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না। বিজেপিতে যাওয়া তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা শোভন চ্যাটার্জির সঙ্গে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের ভুল বোঝাবুঝিতে একসময় সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বহু দিন পরে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে নতুন দলের হয়ে সক্রিয় হতে দেখা যায়। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মুকুল রায়ের মান অভিমান মেটাতেও ময়দানে নামতে হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। এখন দেখার বিশ্বজিতের তৃণমূলে আবার প্রত্যাবর্তন ঘটবে নাকি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে বরফ গলবে।
Comments are closed.