রাজধানীর বুকে যখন হিংসার সূত্রপাত তখন প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে। তারপর কেটে গিয়েছে দু’দিন। শেষ পর্যন্ত দিল্লি হিংসা নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার দুপুর ২ টোয় প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে পরপর দুটি ট্যুইট করা হয়। ট্যুইটে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার আবেদন জানান নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রথম ট্যুইটে বলেন, দিল্লির পরিস্থিতির বিশদ বিবরণ নিয়েছি। শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাও পথে নেমে কাজ করছে।
তারপরই আরেকটি ট্যুইট করেন মোদী। তাতে তিনি দিল্লির বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন। লেখেন, দিল্লিতে বসবাসকারী আমার ভাই ও বোনেদের কাছে আমার আবেদন, সর্বদা সৌভ্রাতৃত্ব ও শান্তি বজায় রাখুন। দ্রুততার সঙ্গে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতেই হবে।
দিল্লিতে এত ঘটনা ঘটে চলা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী কেন মুখ খুলছেন না, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। তবে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জোড়া ট্যুইটে সেই জল্পনার অবসান হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটকে ট্যাগ করে পাল্টা তাঁর উদ্দেশে আবেদন রেখেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। মোদীর ট্যুইটকে ট্যাগ করে প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন, অযোগ্যতা এবং কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে দয়া করে অন্তত দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত করুন।
এদিকে গতকাল রাতের পর ফের দিল্লির রাজপথে দেখা গেল এনএসএ অজিত দোভালকে। বুধবার বিকেলে দোভাল যান উত্তর-পূর্ব দিল্লির মৌজপুর এলাকায়। সেখানে পুলিশ আধিকারিকের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় দোভালকে।
Comments are closed.