শনিবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁকে দলে টেনে পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি অবশ্য সুজাতার তৃণমূলে যোগ দেওয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাঁদের দাবি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের ঢল নেমেছে, দল খালি হয়ে যাবে। আর কী বলছে তৃণমূল? এই বিষয়ে রাজ্যের শাসক দলের অন্যতম নেতা ধৈর্য ধরার কথা বলছেন। জানাচ্ছেন, আরও চমক অপেক্ষা করছে।
কী সেই চমক? বিজেপি থেকে আরও কোনও নেতা কি তৃণমূলে আসছেন? কে তিনি? তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বঙ্গ বিজেপির একাধিক প্রথম সারির নেতা তৃণমূলে নাম লেখাবেন। যার মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন বিজেপি সাংসদও! তবে তাঁদের নাম এখনই প্রকাশ করছে না তৃণমূল। বিজেপিতে থেকে কাজ করতে পারছেন না বলেই তৃণমূলে আসতে চাইছেন তাঁরা বলে দাবি ওই নেতার।
‘১৯ লোকসভা ভোটের পর উত্তরবঙ্গে নিজেদের মজবুত ঘাঁটি তৈরি করেছে বিজেপি। এই বছরের শুরু থেকে সংগঠন মজবুত করতে নেমেছে তৃণমূল।
গত জুলাই মাসে বিজেপিতে চলে যাওয়া উত্তর দিনাজপুরের প্রভাবশালী নেতা বিপ্লব মিত্রের ‘ঘর ওয়াপসি’ দিয়ে শুরু হয়েছিল। তারপর হমায়ুন কবির সহ একের পর এক বিজেপি শিবিরে যাওয়া নেতাকে ঘরে ফিরিয়ে এনেছে তৃণমূল। শুধু দলত্যাগীদের নয়, বিজেপি নেতাদেরও জায়গা দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলে। যার মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য তথা দার্জিলিঙ ও কালিম্পঙের বিজেপি অবজার্ভার মণীশ বানিয়ার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা উল্লেখযোগ্য। বিধানসভা ভোট যত এগোচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূল, দুই দলেই বাড়ছে দলবদলের ঘটনা। এবার কোন নেতাকে দলে টেনে কারা কাকে বিপাকে ফেলে, সেটাই দেখার।
Comments are closed.