শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে জামিনে মুক্ত হলেন মা ইন্দ্রাণী মুখার্জি। সাড়ে ৬ বছর সংশোধনাগারে থাকার পর অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন তিনি। এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত পিটার মুখার্জি ২০২০ সালেই জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন।
২০১২ সালে গোটা দেশে সাড়া ফেলেছিল শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড। অভিযোগ, সে বছর একটি গাড়ির মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ২৫ বছরের শিনাকে। শিনা ছিলেন ইন্দ্রাণী মুখার্জি তাঁর সঙ্গী সিদ্ধার্থ দাসের মেয়ে। প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না ও গাড়ির চালক শ্যাম রাইয়ের সাহায্যে মুম্বই থেকে কিছু দূরে জঙ্গলে শিনার দেহ পুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে ৷
২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে ইন্দ্রাণী মুখার্জিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে নিজের শিনা বোরাকে অপহরণ, হত্যা, অপরহণ করে হত্যা পর প্রমাণ লোপাট এবং দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। মুম্বই পুলিশ ইন্দ্রাণীর গাড়ি চালক শ্যামবর ও ইন্দ্রাণীর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খান্নাকে গ্রেফতার করেন। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ইন্দ্রাণী মুখার্জী ও পিটার মুখার্জিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইন্দ্রাণী মুখার্জি স্বামী পিটার এবং পিটারের ছেলে রাহুলের সঙ্গে শিনাকে নিজের বোন হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন। শিনা পিটার মুখার্জির ছেলে রাহুলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। রাহুলের সঙ্গে সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি ইন্দ্রাণী। এরমধ্যেই ২০২১ সালে মেয়ে শিনা জীবিত আছেন বলে দাবি তোলেন ইন্দ্রাণী। এই দাবি তুলে সিবিআইকে চিঠি দেন ইন্দ্রানী। শিনা কাশ্মীরে আছেন বলে দাবি করেন ইন্দ্রানী। আর এরমধ্যেই জামিনে মুক্ত হলেন ইন্দ্রাণী।
Comments are closed.