ভুয়ো IAS দেবাঞ্জনের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে রাজ্যপাল ধনখড়! ছবি দেখিয়ে বোমা ফাটালো তৃণমূল

ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় একটি ছবি দেখান। যেখানে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের সিকিউরিটিকে দেখা যাচ্ছে রাজ্যপাল এবং তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে।

ছবি দেখিয়ে সুখেন্দুশেখরের অভিযোগ, একজন প্রতারকের সিকিউরিটি রাজ্যপালের ঘনিষ্ঠমহলে কী করছে তা আমরা জানতে চাই। তদন্তকারী সংস্থাকে অনুরোধ করবো এই বিষয়টি যেন খতিয়ে দেখা হয়। সাংসদের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য, জানা গিয়েছে এই সিকিউরিটির হাত দিয়ে নাকি মাঝে মাঝে কিছু খাম, গিফ্ট কোনও এক ব্যক্তির কাছে পাঠানো হত। বিষয়টির দিকে তদন্তকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারীর সুরে তিনি এও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে যাঁরা যাঁরা জড়িত তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তিনি যতই প্রভাবশালী ব্যক্তি হন। ধনখড়কে তাঁর তোপ, কোনও ভাবে যদি রাজ্যপালের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক পাওয়া যায় তাহলে তা দেশের পক্ষে একটা ভয়ঙ্কর কাণ্ড হবে।

এদিন জৈন হাওয়ালা কাণ্ড নিয়েও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সাংঘাতিক অভিযোগ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার চিফ হুইপ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পর রাজ্যপাল সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছিলেন তিনি জৈন হাওয়ালা মামলায় জড়িত নন। কিন্তু তারপরে আমরা যখন নথি দেখিয়ে প্রমাণ করলাম ওনার নাম রয়েছে, তারপর ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও ওনার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সেই সঙ্গে তাঁর বিস্ফোরক দাবি, আমাদের তরফে যেদিন অভিযোগ করা হল সেদিন রাতেই কাকতলীয় ভাবে হাওয়ালা জৈন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সুরেন্দ্র জৈন মারা গেলেন। দিল্লির একটি সংবাদপত্রের খবরের কপি দেখিয়ে দাবি করেন সুখেন্দুশেখর। তিনি আরও বলেন, আমাদের সন্দেহ, রাজ্যপালের নীরবতা এবং এই সুরেশ জৈনের মৃত্যুর মধ্যে সামান্য কোনও সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে।

এদিন সঞ্জয় কাপুরের লেখা Bad Money Bad politics নামে একটি বইয়ের কিছু অংশ পড়ে তৃণমূল নেতা দাবি করেন, এই বইতেও লেখা রয়েছে হাওয়ালা জৈন কাণ্ডে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ১২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন চারটে কিস্তিতে।

সব মিলিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই জোড়া অভিযোগের জেরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এখন দেখার ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যপাল কী প্রতিক্রিয়া দেন।

Comments are closed.