কেন অর্ণবের বিরুদ্ধে হাওয়ালা চক্র চালানোর অভিযোগ এনেছে মুম্বই পুলিশ? চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি এক ধৃতের, দাবি পুলিশের
ভুয়ো টিআরপি মামলায় নয়া মোড়। রিপাবলিক টিভি TRP তোলার জন্য মাসে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এক অভিযুক্ত, দাবি করল মুম্বই পুলিশ।
সোমবার মুম্বইয়ের এক আদালতে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে জানানো হয়, থানের এক কেবল ডিস্ট্রিবিউটর স্বীকার করেছেন যে, মাসে তাঁরা ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করতেন রিপাবলিক টিভির টিআরপি বাড়ানোর জন্য।
মুম্বই পুলিশের দাবি, ক্রিস্টাল ব্রডকাস্ট নামে থানের এক কেবল কোম্পানির মালিক আশিস চৌধুরী হাওয়ালার মাধ্যমে এই টাকা পেতেন। তার পর সেই টাকা যেত ম্যাক্স মিডিয়া নামে অভিযুক্ত আর একটি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার মালিক অভিষেক কোলাওয়াড়ের কাছে। তিনি ওই টাকা অন্যান্যদের হাতে তুলে দিতেন এবং সেখান থেকে বিভিন্ন পরিবারকে দেওয়া হোত এই টাকা। শর্ত ছিল, দিনে সর্বোচ্চ সময় পর্যন্ত টিভি সেটে রিপাবলিক টিভি চ্যানেল চালিয়ে রাখতে হবে।
আদালতে এই দাবি জানিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত আশিস চৌধুরী ও অভিষেক কোলাওয়াড়েকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় মুম্বই পুলিশ। রিমান্ডের আবেদনে জানানো হয়, অভিযুক্ত আশিস চৌধুরীর কাছ থেকে প্রতি মাসে ১৫ লক্ষ টাকা করে পেতেন অন্য অভিযুক্ত অভিষেক। সেই টাকা অভিষেকের কাছ থেকে চলে যেত জনৈক রামজি ভার্মা, দীনেশ বিশ্বকর্মা ও উমেশ মিশ্রর কাছে। তাঁরা আবার সেই টাকা খরচ করতেন বার-ও-মিটার বসানো বাড়িগুলিতে। সেখানে বলে দেওয়া হোত, যেন টিভি সেটে সর্বদা রিপাবলিক টিভি চলতে থাকে। পুলিশের এও দাবি, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত অভিযুক্ত কোলওয়াড়ের কাছে ওয়াও মিউজিক, রিপাবলিক ভারত হিন্দি ইত্যাদি টিভি চ্যানেলের কাছ থেকে টাকা আসত। পুলিশ এও জানায়, আশিস চৌধুরী এবং অভিষেক কোলাওয়াড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ সহ নগদ ১৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে তারা। এই প্রেক্ষিতে আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত কোলওয়াড়েকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ভুয়ো টিআরপি মামলায় মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের নজরে যে টিভি চ্যানেলগুলি রয়েছে তাদের নাম হল রিপাবলিক টিভি, ফক্ত মারাঠি, বক্স সিনেমা, নিউজ নেশন ও মহা মুভিজের কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, এই চ্যানেলগুলি টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট বা টিআরপি বৃদ্ধির জন্য বেআইনিভাবে টাকা খরচ করত।
Comments are closed.